ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাটক ‘নন্দিত বন্দী’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাটক ‘নন্দিত বন্দী’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বিশ্বাস ঘাতকদল নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে।  

তখন দখলদাররা দেশে কারফিউ জারি করে।

পিতার বিয়োগে বোবা কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা জাতি। এই নির্মম খবর শুনে জাতির পিতার আদর্শের বীরজনতা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদেরই একজন বিশ্বজিৎ নন্দী।  

জাতির পিতার প্রতি বিশ্বজিতের জীবন উৎসর্গীকৃত ভালোবাসা ও প্রতিরোধের সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘নন্দিত বন্দী’। এটি রচনা করেছেন ফজলুল হক আকাশ এবং প্রযোজনা করেছেন আব্দুল্যাহ আল মামুন।  

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নরেশ ভূইয়া, সমু চৌধুরী, শতাব্দী ওয়াদুদ, নয়ন চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, দীপা খন্দকার, খলিলুর রহমান কাদেরী, মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।  

নির্মাতা জানান, ঘাতক সরকার যখন রাজাকারদের নিয়ে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন বিশ্বজিতরা ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ ‘শহীদ মুজিব দিবস’ পালন করার উদ্যোগ নেয়। সারাদেশে ডাক দেওয়া হয় হরতালের। বিশ্বজিতের ছয় সদস্যের দল মুক্তাগাছা ও মধুপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। হরতাল পালনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় মরণ যুদ্ধ।  

সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা বিশ্বজিৎ নন্দী ১৯৭৬ সালের ১৪ আগস্ট আহত অবস্থায় সেনা সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হন। ১৯৭৭ সালের ১৮ মে সামরিক আদালতে তার ফাঁসির আদেশ হয়। সেই থেকে প্রায় চৌদ্দ বছর এই বীরকে কাটাতে হয় বন্দী জীবন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আশির দশকে বিশ্বজিৎ নন্দীসহ সকল প্রতিরোধ যোদ্ধা কারাবন্দীদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। শেখ হাসিনার আন্দোলনের চাপের মুখে স্বৈর শাসক ১৯৮৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই বীরকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। তিনি আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বজিত নন্দী ও তার সহযোগী সকল বিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটক ‘নন্দিত বন্দী’। এটি শনিবার (২০ আগস্ট) রাত ৯টায় বিটিভিতে প্রচার হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।