ঢাকা, সোমবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সচিবালয় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে চালু হচ্ছে চেকিং কার্যক্রম 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:২১, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
সচিবালয় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে চালু হচ্ছে চেকিং কার্যক্রম  নিষিদ্ধ প্লাস্টিক

আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক (SUP) মুক্ত করতে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  

পরিবেশবান্ধব সচিবালয় গড়ার লক্ষ্যে সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে চিহ্নিত সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর চেকিং চালু হবে।

 

দর্শনার্থীদের পাঠানো ওটিপি বার্তায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক না আনার নির্দেশনা থাকবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সচিবালয়ের নিরাপত্তাকর্মীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক ও বিকল্প ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সচিবালয়ের ভবন, প্রবেশদ্বার ও লিফটের সামনে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশের বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও স্টিকার লাগানো হবে। একই দিন থেকে সচিবালয়ের বিপণি বিতান ও ক্যান্টিনগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচ ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর পরিবর্তে পাটজাত ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ও অন্যান্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে।

প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ এবং একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটিগুলো সচিবালয় প্লাস্টিকমুক্তকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। শুধু সচিবালয় নয়, সচিবালয়ের বাইরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোও এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। মাসিক সমন্বয় সভার এজেন্ডায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।  

সরকারের এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা- ১ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটি বাস্তবায়ন অগ্রগতি যাচাই করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবে।

সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক সহজে পচে না এবং মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করার এই উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। এই পাইলট কর্মসূচি সফল হলে তা দেশের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে তাই সবাইকে এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হলো।  

এসকে/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।