ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

রয়েল বেঙ্গল টাইগার যখন পাহারাদার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৮, মে ১৬, ২০১২
রয়েল বেঙ্গল টাইগার যখন পাহারাদার

ঢাকা: চোর-ডাকাতের উপদ্রব থেকে বাঁচতে অনেকে কুকুর পোষে। অত্যন্ত প্রভুভক্ত বলে এ প্রাণীটি অনেকের প্রিয় পোষা প্রাণী।

কিন্তু বাঘ ভল্লুকের মতো হিংস্র প্রাণীকে কেউ যদি পোষে বা পাহারাদার নিয়োগ করে তাহলে কেমন হয়? গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা নিশ্চয়!

আর এমন দুঃসাহসের কাজটিই করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী মাইকেল জেমিসন। গার্লফ্রেন্ড জ্যাকিকে নিয়ে ব্র্যাকপেনে সংসার পেতেছেন তিনি। আর সঙ্গে রেখেছেন ৩৩০ পাউন্ড ওজনের আস্ত একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আদর করে তার আবার নাম রেখেছেন এনজো।

বাঘ পোষা অবশ্য মাইকেলের বহুদিনের শখ। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। এরমধ্যে বাড়িতে দু’বার সশস্ত্র ডাকাতেরা হানা দিলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবার বাঘ পুষতেই হবে। তা না হলে ডাকাতদের শায়েস্তা করা যাবে না।

এক বছর বয়সী এনজো মাইকেলের শোবার ঘরেই আলাদা বিছানায় ঘুমায়। দিনে দু’বার সে বোতলে করে খাবার খায়। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ৪ কিলোগ্রাম মাংস। বাড়িতে আরো তিনটি পোষা কুকুরের সঙ্গে প্রতিদিন সে খায় মুরগীর মাংসের সঙ্গে ভাত। কুকুরগুলোর সঙ্গে এনজোর খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বলে জানান মাইকেলে।

প্রিয় এনজো প্রসঙ্গে মাইকেল বলেন, ‘এনজো বাড়িতে থাকলে আমি বেশি নিরাপদ বোধ করি। আমি সব সময়ই বাঘ পুষতে চাইতাম, এখন সেটা পেয়েছি। ’

প্রথম দিকে অবশ্য এনজোকে নিয়ে একটু ঝামেলা গেছে। বাড়িতে বাঘ পোষা দেখে পুলিশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা কয়েকবার খোঁজখবর নিয়ে গেছে। তারা এনজোকে এখান থেকে ‘উদ্ধার’ করতে চাইত। তবে যখন দেখল এনজো এখানে ভালই আছে তখন আর কেউ আপত্তি করেনি বলে জানান মাইকেল জেমিসন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।