চোর কিংবা দুষ্কৃতিকারীরাও কখনও সখনও বড্ড আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে! কৃতকর্মের জন্য তারা অনুশোচনাও করে।
চোরের এই চরিত্র শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, মার্কিনি চোরদের মধ্যেও রয়েছে।
কিংবা বলা ভাল, মার্কিন মুলুকের চোরেরা ভারতীয় উপমহাদেশের চোরদের চেয়ে বোধহয় একটু বেশি আবেগপ্রবণ। তা না হলে চুরি করা মাল ফেরত দিয়ে গৃহস্থকে সাবধান করতে তালাচাবি কেনার জন্য টাকা দিয়ে যায় কেউ!
ঘটনা অবিশ্বাস্য হলেও গত শুক্রবার তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্কে।
সেদিন পোর্টল্যান্ড কমিউনিটি কলেজের অধ্যাপক পল গিলম্যুর কলেজ থেকে বেরিয়ে দেখেন তার শখের বাইসাইকেলটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উধাও। অনেক খোঁজাখুজির পর বাহনটি না পেয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন রাস্তার পাশে।
ঘণ্টাখানেক বাদে তিনি কি মনে করে ফিরে আসেন যেখান থেকে সাইকেলটি খোয়া গেছে সেখানে। এবং তখনি আনন্দে আর বিস্ময়ে তার চোখ ছানাবড়া প্রায়! বাইসাইকেলটি যথারীতি আগের জায়গাতেই রাখা রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে চোরের লেখা একটি চিঠি ও ১০ ডলারের একটি নোট।
চিঠিতে চোর লিখেছে “আমার চাকরি নেই। মাদকে আসক্তি জন্মেছে। তাই সাইকেলটি চুরি করেছিলাম। কিন্তু মন এই চুরিতে ঠিক সায় দিল না। তাই সাইকেলটি রেখে গেলাম। আর হ্যাঁ, সাইকেলের তালাটা কোনো কাজের নয়। ওটাকে অবিলম্বে বদল করে নিন। তার জন্য আমি আপনাকে ১০ ডলার দিয়ে গেলাম। ”
সাইকেল ফিরে পেয়ে খুশি অধ্যাপক পল বলেন, “এরকম চোরও আছে, তাও আবার মার্কিন মুলুকে! চোরের এই আবেগপ্রবনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ঘন্টা, অক্টোবর, ২০১২
অমিয় দত্ত ভৌমিক/একে