ঢাকা, রবিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

ফিচার

আকাশ ছোঁয়া রাজপ্রাসাদ, মুম্বাইয়ের বুকে মুকেশ অম্বানীর ‘অ্যান্টিলিয়া’

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
আকাশ ছোঁয়া রাজপ্রাসাদ, মুম্বাইয়ের বুকে মুকেশ অম্বানীর ‘অ্যান্টিলিয়া’

মুম্বাইয়ের ব্যস্ত শহরের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এক আকাশছোঁয়া ‘অ্যান্টিলিয়া’। শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের অন্যতম দামি ব্যক্তিগত বাসভবন এটি।

মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। বাণিজ্যনগরীর অভিজাত আল্টামাউন্ট রোডে ২৭ তলা আর ৫৬৮ ফুট উচ্চতার এই রাজপ্রাসাদ যেন আধুনিক ভারতের বৈভব আর কল্পনার এক জীবন্ত নিদর্শন।

বিশ্বখ্যাত নির্মাণ সংস্থা ওয়েল অ্যান্ড পারকিন্‌স তৈরি করেছে প্রায় চার লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বাড়ি। অ্যান্টিলিয়ার প্রতিটি তলায় রয়েছে অনন্য নকশা — কোনও তলা একে অপরের মতো নয়। মার্বেল, মুক্তো আর ঝকঝকে কাচে মোড়া গোটা বিল্ডিং যেন প্রতিটি কোণ থেকে রাজকীয়তার গল্প বলছে।

মুকেশ অম্বানী, স্ত্রী নীতা, ছেলে আকাশ ও পুত্রবধূ শ্লোকা, ছোট ছেলে অনন্ত ও পুত্রবধূ রাধিকা, আর তাদের সন্তানরা— সবাই একসঙ্গে থাকেন এই বিশাল প্রাসাদে। সঙ্গে আছেন নবতিপর কোকিলাবেন অম্বানী। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের থাকার জায়গা নিয়েও রয়েছে আলাদা গল্প। বাড়ির সবচেয়ে দামি অংশ, ২৭ তলায় থাকে আকাশের পরিবার— আক্ষরিক অর্থেই "আকাশের কাছাকাছি"।

এই প্রাসাদের ভেতর রয়েছে স্বপ্নের মতো সব সুবিধা। রেয়েছে ৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, তিনটি হেলিপ্যাড, বিশাল মন্দির
আছে আইসক্রিম পার্লার, সুইমিং পুল স্পা, বিউটি পার্লার, নাচের স্টুডিও ও স্নো রুম— যেখানে ছাদ থেকে ঝরে পড়ে কৃত্রিম তুষার!

কিন্তু অ্যান্টিলিয়ার সবথেকে বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য কী জানেন? এখানে নেই সাধারণ এয়ার কন্ডিশনারের দৃশ্যমান ব্যবস্থা। সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা, যা আসলে বাড়ির দামি মার্বেল, ফুল ও অন্যান্য সংবেদনশীল উপকরণ সংরক্ষণের জন্য তৈরি।  

শুধু রাজকীয় জীবনযাপন নয়, এখানে ৬০০ কর্মী প্রতিদিন এই বিশাল প্রাসাদকে সচল রাখেন। তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা সুবিধা — খাওয়াদাওয়া থেকে মনোরঞ্জন, সবকিছুতেই রয়েছে পরিবারের বিশেষ নজর। একটি সম্পূর্ণ তলা বরাদ্দ রয়েছে শুধু কর্মীদের জন্য।

অ্যান্টিলিয়ার নির্মাণ শেষে, বাড়িটি বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু ঘাটতি রয়েছে মনে হওয়ায়, প্রায় দেড় বছর ধরে আরও পরিবর্তন ও সাজসজ্জার কাজ চলে।  

আজ সেই বাড়ি মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয় — তবু মুকেশ-নীতার এই স্বপ্নপ্রাসাদ শুধুমাত্র ধনসম্পত্তির বাহাদুরি নয়, বরং পরিবারের একসঙ্গে থাকার গল্পও বলে। আকাশ ছোঁয়া এই স্বপ্নের ঠিকানা তাই শুধু বিলাসের নয়, ভালোবাসারও।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।