সভ্য-ভব্য হিসেবে ইংরেজদের সুনাম দুনিয়ায় কম না। সেই সভ্য লোকদের সভ্য দেশে এ ধরনের আচরণ রীতিমত চমক সৃষ্টি করে।
লন্ডনের হোয়াইট হল এলাকায় বরফ জমানো ঠাণ্ডার মধ্যে এক ইংরেজ সম্পূর্ণ দিগম্বর হয়ে প্রিন্স জর্জের মূর্তির ওপর বসে পড়ে নানান অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। টানা প্রায় ৩ ঘণ্টার মাথা বিগড়ানো ওই আচরণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে বাপ-ধন ডেকে তাকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে।
কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডায় মোটা জ্যাকেট-জাম্পার-ইউনিফর্ম পড়েও কাঁপতে থাকা পুলিশ দলের অনুরোধ-উপরোধে কান না দিয়ে মধ্যযুগের দিগবিজয়ী যোদ্ধার মত সে মূর্তির ওপরে নানা ভঙ্গিমায় বসে-দাঁড়িয়ে ক্যারিকেচার দেখিয়ে যান জন্মদিনের পেশাকে থাকা ওই লোক। একপর্যায়ে মূর্তির হাত থেকে একটি তরবারি খুলে নিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি দেখাতে থাকেন রাস্তায় অপেক্ষমান সাধালণ মানুষ ও পুলিশ দলকে।
তার এমন বিটকেলে আচরণের কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ওই মূর্তিটার ওপর ওঠার কিছুক্ষণ আগে তাকে অদ্ভূত আচরণ করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তিনি মূর্তিটি বেয়ে উঠে যান। তবে মাঝে একবার থেমে জামা-কাপড় খুলে নিমসুতো হয়ে যান। এরপর মূর্তির মাথায় চড়ে তিনি গলাবাজী করতে থাকেন এবং বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ‘পোজ’ দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় ওই পথে ট্রাফিক জ্যাম বেঁধে যায়। নাম পরিচয় না জানা ওই লোকটির আচরণে আশপাশে জড়ো হওয়াদের কেউ কেউ বিব্রত বোধ করলেও বাকিরা বেশ মজাই পান।
যখন এসব ঘটনা চলছিল তখন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এর সঙ্গে তাল রেখে জোরে-শোরেই বইছিল হিমশীতল বাতাস।
৩ ঘণ্টা পর মূর্তির মাথা থেকে নেমে পুলিশে ধরা দেন বিনা পয়সার বিনোদনদানকারী বা কারও মতে অশালীন আচরণকারী ওই ব্যক্তি।
জানা গেছে, ইংল্যান্ডের মানসিক স্বাস্থ্য আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০১২
একে