ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর। ২৪ বছর বয়সী মা হিদার জেনসেন তার ৪ ও ২ বছর বয়সী দুই সন্তানকে পার্ক করা গাড়িতে রেখে পাশেই আরেকটি গাড়িতে তার বয়ফেন্ডের সঙ্গে সময় কাটাতে যান।
ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় স্বাসরোধ হয়ে শিশুটি মারা গেছে এবং তার বড় ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারণ, ওই নারী চালু অবস্থায় তার গাড়িটি পার্ক করে রেখে যান। এতে ইঞ্জিন থেকে কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বের হয়ে গাড়ির ভেতরের অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে এই মারাত্মক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার করোরাডোর গ্রাণ্ড জাংশন এলাকার বিয়োগাত্মক এ ঘটনার পর পুলিশকে ওই মা জানান, তিনি তার ২ সন্তানকে জমে থাকা তুষারে খেলা করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগে বাচ্চাদের টয়োটা ফোররানার গাড়ির পেছনের সিটে রেখে পাশেই পার্ক একটি ট্রাকের ভেতর তার বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে তিনি ঘণ্টাখানেক সময় কাটান।
ফিরে এসে যখন বুঝতে পারেন তার ছোট ছেলের স্বাস-প্রস্বাস চলছে না, তখন ৯১১ নম্বর ডায়াল কের পুলিশ ডাকেন।
জানা গেছে, এ ঘটনার মাত্র ৬ সপ্তাহ আগে বিধবা হন তিনি। তার স্বামী জেনসেনকে বহনকারী গাড়িটি অপর একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটালে জেনসেন মারা যান।
পুলিশ রেকর্ডে আরও জানা গেছে, স্বামীর ওপরে হিংস্র আচরণের দায়ে তিনি পুলিশি পর্যবেক্ষণেও ছিলেন। এছাড়া মানসিক অস্থিরতা তথা বিষণ্নতাজনিত কারণে ওষুধও সেবন করছিলেন হতভাগা ওই মা।
গাড়িজনিত কারণে ২ মাসের মধ্যে হিদার তার স্বামী ও শিশুপুত্র উইলিয়ামকে হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ।
পুলিশ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে এই ট্রজেডির প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ডেনভার হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসায় টাইলার সেরে উঠেছে এবং বলা যায় আশংকামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১২
একে