গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস মোতাবেক বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিস কুপার মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দিন-তারিখ অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জর্জিয়ার একটি নার্সিংহোমে মারা যাওয়ার সময এই নারীর বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর।
এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকায় নারী হিসেবে পরিচিত চীনের ইয়াও দিফেনও মারা গেছেন। মারা যাওয়ার সময় তার শরীরের দৈর্ঘ্য ছিল ২.৩৬মিটার। স্থানীয় পত্রিকা জানায়, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ইয়াওয়ের উচ্চতা ২ মিটার ছাড়িয়ে যায়। তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।
বিলম্বে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে, তিনি মারা গেছেন গত মাসের মাঝামাঝি তার আবাসস্থল পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের শুচওয়া শহরতলীতে। শুচওয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ইয়াওয়ের মৃত্যুর কারণ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে বিশ্বের জীবীত দীর্ঘতম নারীর স্বীকৃতি দেয়। তখন তার উচ্চতা ছিল ২.৩৩মিটার।
পিটুইটারি গ্রন্থিতে (মস্থিষ্কের নিম্নভাগে অবস্থিত অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি বিশেষ। এর থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে) একটি টিউমারের অবস্থানই ইয়াওয়ের এ ধরনের অস্বাভাবিক লম্বুত্বের কারণ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, বিশ্বের দীর্ঘজীবী মানুষ বিস কুপারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সিডনি কুপার। ২০১১ সারের জানুয়ারিতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে জীবীত সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর স্বীকৃতি দেয়। ১৮৯৬ সারের ২৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
দীর্ঘায়ুর আরণ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে একবার বিস কুপার বলেছিলেন, আমি নিজের কাজে মনোযোগ দেই আর হাবিজাবি খাবার খাই না।
১৯২৪ সালে লুথার কুপারকে বিয়ে করেন তিনি। তার ১১৪তম জন্মদিন পর্যন্ত পাওয়া হিসেব মোতাবেক জানা গেছে, বেস কুপারের এক ডজন সংখ্যক নাতি-নাতনি রয়েছে এবং তাদের ঘরে পুতির সংখ্যা এক ডজনেরও বেশি।
প্রসঙ্গত, কুপার যে বছর জন্ম নেন, সেই একই সালে ফোর্ড কোম্পানি তার প্রথম গাড়িটি তৈরি করে এবং আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১২
একে