বিভিন্ন সভা-সমিতিতে দেওয়া বক্তৃতা-বিবৃতি আর ঘরোয়া বাতচিতে ভারতের জনপ্রিয় বিহারি নেতা ও আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের ইংরেজি-জ্ঞান সম্পর্কিত একাধিক ঘটনা লোকমুখে হামেশাই চর্চিত হয়ে থাকে। এর কিছু সত্য, আর কিছু আছে লালু’র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নির্ভর করে প্রতিপক্ষের দক্ষ গল্পবাজদের বানানো।
তবে সত্য-মিথ্যা বিচার না করে লালুকে নিয়ে প্রচলিত সব ঘটনাই রাজনৈতিক মহলসহ সর্বত্র ব্যাপক আলোচিত। বিষয়টি লালু নিজেও উপভোগ করেন। ভারতীয় টিভি চ্যানেল আর পত্র-পত্রিকাগুলোতে লালুকে নিয়ে রঙ্গ-তামশা নিয়মিত ব্যাপার। তবে এসব বিষয় নিজ রাজ্যে লালুর ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা এবং একাধিকবার তার দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার পেছনেও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন অনেকে।
যাহোক, বলছিলাম লালু প্রসাদ যাদবের ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে। এ বাবদে তার নানা কাণ্ডকীর্তি সম্পর্কে রাজনীতিক মহল বেশ ভালই ওয়াকিবহাল। তবে বুধবার লালুজির দেওয়া বক্তব্যে একটি ইংরেজি শব্দের বিপরীতার্থক অর্থ লোকসভার গুরুগম্ভীর পরিবেশকেও তরল আর আমুদে করে তোলে। তিনি লোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে ‘এয়ার হোসেস্টস’কে (Air Hostess উড়োজাহাজে আতিথ্যকর্তী বা বিমানবালা) ‘এয়ার হোস্টেজ’ (Air Hostage, আকাশে বা উড়োজাহাজে জিম্মি) বলে উল্লেখ করেন।
হিন্দি অনলাইন দৈনিক নবভারত টাইম্স জানায়, বুধবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এভিয়েশন মন্ত্রণালয় সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন চলছিল। এসময় লালুও প্রশ্ন করতে ওঠেন। তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সের পাইলট আর ‘এয়ার হোস্টেজরা’ ঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছেন না... ব্যস, এটুকুই যথেষ্ট। লালুর পেছনে থাকা এবং আশপাশের সদস্যরা আলস্য-ক্লান্তি আর একঘেয়েমি ভুলে মুচকি হাসিতে বিনোদিত হয়ে উঠলেন।
এসময় পেছনের সারিতে থাকা এনসিপি সদস্য সুপ্রিয়া সুলে অবশ্য অন্যদের সঙ্গে রঙ্গ-তামাশায় যোগ না দিয়ে তার ভুল শুধরে দিয়ে বলেন, ‘এয়ার হোস্টেজ’ হয় না, হবে ‘এয়ার হোস্টেস’...
কিন্তু লালুর কানে তা পৌঁছেনি অথবা তিনি অন্য দলের সদস্যের বলে ওই কথায় গাঁ করেননি। তিনি বারবার তার বক্তব্যে ‘এয়ার হোস্টেজ’ শব্দ উচ্চারণ করতে থাকেন। এসময় আমপাশে উপবিষ্ট লোকসভা সদস্যদের হাসি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১২
একে