ময়মনসিংহ : গ্রামীণ ঐতিহ্যে শীতের আমেজ বলতেই খেজুরের রস। সেই রস দিয়ে তৈরি হয় মজাদার রকমারি পিঠা।
গাছ মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে গাছিরা খেজুর গাছ কিনে রস হাড়িতে ভরছেন। এরপর ভাঁড় কাঁধে নিয়ে সেই রস বিক্রিও করছেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও ও ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সারি সারি খেজুরের গাছ চোখে পড়ে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন গ্রামের গাছ মালিকরা গাছিদের কাছে এসব খেজুরের গাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রতিটি গাছ বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।
এসব গাছ থেকে চলছে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। তবে অগ্রাহয়ণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুরোদমে গাছ কাটা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গাছিরা।
জানা গেছে, এক সময় শীতের সকালে গ্লাস ভরে খেজুরের রস খাওয়া ছিল লোভনীয়। স্বাস্থ্যসম্মতও। এছাড়াও খেজুরের রসের গুড় পাটালির চাহিদা এখনো রয়েছে।
পুরো শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই খেজুর রসের সহজলভ্যতার কারণে ময়মনসিংহের শ্যামলী গ্রামের প্রতিটি ঘরে পিঠা-পুলি-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে গেছে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি পিঠা শহরের বাসা-বাড়িতেও তীব্র শীতে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
গফরগাঁও উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের ডিক্রি ভূমি গ্রামের গাছি আজিজ মিয়া জানান, মৌসুমে গাছিরা এক একটি গাছ ৫শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা দরে কিনছেন। পরে গাছ কেটে রস সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুরামপুর গ্রামের গাছি আব্দুল মোতালেব জানান, রস ও খেজুরের গুড় তিন ভাগ করা হয়। এর মধ্যে দু’ ভাগ মালিক ও এক ভাগ গাছিরা নিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়:০৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১২
জেডএম/জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর