ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

ফিচার

দক্ষিণ ককেশাসের শান্তিচুক্তি: শান্তির বার্তা নাকি সংকটের ইঙ্গিত?

আশরাফুর রহমান, তেহরান থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩১, আগস্ট ১১, ২০২৫
দক্ষিণ ককেশাসের শান্তিচুক্তি: শান্তির বার্তা নাকি সংকটের ইঙ্গিত? শান্তিচুক্তির পর করমর্দন করছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি ‘ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটালেও দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

বিশেষ করে ইরান এই পরিস্থিতিকে গুরুতর নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছে।

চুক্তির মূল বিষয়বস্তু
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাত অবসানে হোয়াইট হাউসে গত ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি শান্তিচুক্তি হয়েছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের উপস্থিতিতে চুক্তি সইয়ের মুহূর্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যদিও চুক্তির পূর্ণাঙ্গ পাঠ এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানা গেছে, এটি মূলত একটি বাণিজ্য ও পরিবহন রুট স্থাপনকে কেন্দ্র করে—যা আর্মেনিয়ার ভেতর দিয়ে আজারবাইজানকে তার নাখচিভান এক্সক্লেভের (বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড) সঙ্গে যুক্ত করবে এবং নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রাম্প করিডোর’।


‘জাঙ্গেজুর করিডোর’ পরিচিতি পাবে ‘ট্রাম্প করিডোর’ হিসেবে


‘ট্রাম্প করিডোর’ কী?

‘ট্রাম্প রুট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’ নামের এই করিডোর মূলত আর্মেনিয়ার দক্ষিণ অংশের সিউনিক প্রদেশের মধ্য দিয়ে আজারবাইজানকে তার নাখচিভান প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এরপর নাখচিভান থেকে এটি তুরস্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে আর্মেনিয়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২০ মাইল দীর্ঘ করিডোর ৯৯ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ইজারা দিয়েছে, যাতে কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত একটি ন্যাটো করিডোর স্থাপন করা যায়। প্রস্তাবিত করিডোরটি এতদিন ‘জাঙ্গেজুর করিডোর’ নামে পরিচিত ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য কী?

প্রায় ৪০ বছর ধরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে তীব্র সংঘাতে লিপ্ত। সোভিয়েত যুগে প্রধানত আর্মেনীয়দের বাসভূমি হলেও এই অঞ্চলটি আজারবাইজানের সীমানার মধ্যে অবস্থিত। এখানে বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, যাতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপের মতো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাও টেকসই সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

এবার ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ, যা তিনি প্রকাশ্যে ‘বিশ্ব শান্তির দূত’ এবং সম্ভবত নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে তার উত্তরাধিকার গড়ার অংশ হিসেবে প্রচার করছেন, কেবল আঞ্চলিক শান্তির দিকে পদক্ষেপের চেয়ে গভীর কৌশলগত তাৎপর্য বহন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি অঞ্চলের বিন্যাস এমনভাবে পরিবর্তন করেছে, যা শেষ পর্যন্ত তার নিজস্ব ভূরাজনৈতিক স্বার্থকে নিশ্চিত করে। যদিও পশ্চিম এশিয়া থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত, আমেরিকার ‘মধ্যস্থতা’ প্রায়ই বিভক্তি ও সংঘাতে রূপ নিয়েছে।

দক্ষিণ ককেশাসে ওয়াশিংটনের সর্বশেষ কৌশল ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেওয়া পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছে, অথচ রেখে গেছে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র, জাতিগত বিভাজন এবং উগ্রপন্থিদের দ্বারা পূর্ণ জনপদ।

আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া

তুরস্ক এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে অভিহিত করেছে এবং করিডোর প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আঙ্কারা বলেছে, পরিকল্পিত ট্রানজিট করিডোর দক্ষিণ ককেশাসের মধ্য দিয়ে জ্বালানি ও অন্যান্য সম্পদের রপ্তানি বৃদ্ধি করবে বলে আশা করছে তারা।

এই তথাকথিত ‘জাঙ্গেজুর করিডোর’ প্রকল্পকে আজারবাইজান দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছে, যার মাধ্যমে আর্মেনিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করে নিজস্ব প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হবে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বারবার বলেছেন, এই করিডোরে আর্মেনিয়ার কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কভাবে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, মস্কো দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির উদ্যোগকে সমর্থন করে। তবে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ককেশাসে বাইরের শক্তির প্রবেশ এবং হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে যাতে আরও সমস্যা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং সর্বোত্তম বিকল্প হলো রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের সহায়তায় যৌথভাবে সমস্যা সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

আর্মেনিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মার্কিন পরিকল্পনা সম্পর্কে গত ২৬ জুলাই দ্য আর্মেনিয়ান পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাক এক বিস্ময়কর প্রস্তাব দেন—সিউনিক প্রদেশের মধ্য দিয়ে আজারবাইজানকে ১০০ বছরের জন্য একটি করিডোর লিজ দেওয়া হোক। এর মাধ্যমে আজারবাইজান সরাসরি তাদের বিচ্ছিন্ন নাখচিভান অংশে স্থলপথে পৌঁছাতে পারবে। রুটটি চালাবে একটি মার্কিন কোম্পানি। ওয়াশিংটন একে শান্তি উদ্যোগ বললেও আর্মেনিয়ায় এটি সার্বভৌমত্ব খর্বের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যদিও প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান গত ১৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ধরনের চুক্তিকে নির্মাণ অনুমতিপত্র হিসেবে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব, এবং চুক্তির মেয়াদ শেষে অবকাঠামোগুলো আর্মেনিয়ার মালিকানায় ফিরবে। তার এই মন্তব্য তখনই রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করে। কারণ আর্মেনিয়ার আইন অনুযায়ী বিদেশি নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি লিজ দেওয়া যায় না, শুধু কৃষিকাজ বা পশুচারণের জন্য অনুমতি রয়েছে। বিরোধীরা একে আজারবাইজান–তুরস্কের পরিকল্পিত কৌশল বলে অভিযোগ করছে, যা ইরান–আর্মেনিয়া সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আর্মেনিয়াকে চাপে ফেলবে এবং যেখানে আর্মেনিয়ার কাস্টমস বা নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

ইরানের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া

‘ট্রাম্প করিডোর’কে ইরান তার জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখছে। ইরান আশঙ্কা করছে যে, প্রস্তাবিত করিডোর কার্যকর হলে তা ইরানকে ককেশাস থেকে বিচ্ছিন্ন করবে, আর্মেনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ব্যাহত করবে এবং উত্তর–দক্ষিণ পরিবহন করিডোরকে হুমকির মুখে ফেলবে।

করিডোরটি সরাসরি ইরান সীমান্তের পাশে হওয়ায় তেহরান এটিকে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর ঝুঁকি মনে করছে এবং এর ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা মানে সীমান্তে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বৈধ অজুহাত তৈরি হবে বলে সতর্ক করছে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে ইরান মনে করে, এই পথ মধ্য এশিয়া, ককেশাস ও তুরস্কের মধ্যে এমন এক কৌশলগত ও বাণিজ্যিক জোট গড়ে তুলবে, যেখানে ইরানের প্রভাব কমে যাবে। তাই প্রস্তাবিত করিডোর প্রতিহত করতে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন, বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালীকরণ, তুরস্কের সঙ্গে সংযোগ জোরদার এবং রাশিয়া–চীনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর পথে অগ্রসর হচ্ছে ইরান।

‘রাশিয়া থাক বা না থাক, ইরান পদক্ষেপ নেবে’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি সতর্ক করে বলেছেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির পর দক্ষিণ ককেশাসের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ইরান দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেবে—রাশিয়া থাক বা না থাক।

বেলায়েতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তথাকথিত ট্রাম্প করিডোর আর্মেনিয়াকে বিচ্ছিন্ন করবে, সীমান্ত পুনর্নির্ধারণ করবে এবং ইরানের ককেশাসে প্রবেশাধিকারকে মারাত্মকভাবে সীমিত করবে—যেখানে ইরান কেবল তুরস্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।


ইরানের সর্বোচ্চ নেতার আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি


ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে বেলায়েতি বলেন, “দক্ষিণ ককেশাস কি এমন কোনো মালিকবিহীন জমি, যা ট্রাম্প ভাড়া দিতে পারে? এটি বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল অঞ্চল। এ ধরনের পথ ট্রাম্পের সম্পত্তি হবে না—এটি হবে তার ভাড়াটে সৈন্যদের কবরস্থান। ”

ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে একটি ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটি ন্যাটো বাহিনীকে তুরস্ক ও অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে ইরানের উত্তর সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে আসবে।

বেলায়েতি আরও বলেন, নাখচিভানকে আজারবাইজানের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে এমন করিডোরের প্রয়োজন নেই; এই সংযোগ ইরানের ভেতর দিয়েই সম্ভব। তাঁর ভাষায়, “এখানকার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য শুধু আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া নয়—যে কোনো পরিবর্তন ইরানের সীমান্তকে প্রভাবিত করে, আর আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করব। ”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্ক প্রতিক্রিয়া

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তির চূড়ান্তকরণকে ‘স্থায়ী শান্তির দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে, যেকোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ, বিশেষত ইরানের সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলে, যা স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে পারে, তা নিয়ে ইরান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তেহরান আর্মেনিয়া ও বাকুর সঙ্গে ৩+৩ আঞ্চলিক সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম-এর মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামোর মাধ্যমে কাজ করার প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যেখানে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া, ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক অন্তর্ভুক্ত।

ইরান জোর দিয়েছে বলেছে, পরিবহন নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কেবল তখনই কার্যকর হবে যখন তা পারস্পরিক স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অঞ্চলের দেশগুলোর ভৌগোলিক অখণ্ডতা সম্মান করে।

ইরানের করণীয় কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ ককেশাসের নতুন শান্তিচুক্তি যেমন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা তৈরি করেছে, তেমনি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতারও দ্বার খুলেছে। ইরানের জন্য এটি এক কঠিন পরীক্ষা, যেখানে দেশকে একইসঙ্গে কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে বহুমুখী কূটনীতি অনুসরণ করে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করাই হবে তেহরানের জন্য সর্বোত্তম পথ। আগামী দিনে এই অঞ্চল বৈশ্বিক ভূরাজনীতির অন্যতম উত্তপ্ত অঙ্গনে পরিণত হতে পারে, যেখানে ইরানকে সতর্ক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

দক্ষিণ ককেশাসে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শান্তি উদ্যোগগুলোকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌমত্বকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিকভাবে পরিচালিত হতে হবে। ধ্বংসাত্মক ইতিহাস রয়েছে এমন কোনো বাইরের শক্তিকে এখন অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া যাবে না।

এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।