ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার

ইরানে এস-৪০০ মোতায়েনের গুঞ্জন: ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ

আশরাফুর রহমান, তেহরান থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৭, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
ইরানে এস-৪০০ মোতায়েনের গুঞ্জন: ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা

ইরানে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ মোতায়েন ও পরীক্ষার খবর সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।  

মাসখানেক আগে ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা কোনো কোনো সূত্র রুশ প্রযুক্তির এস-৪০০ ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বলেই দাবি করা হচ্ছে।

 

যদিও এখনো তেহরান কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তবে একাধিক সামরিক সূত্র এবং রাশিয়া থেকে ইরানে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক সামরিক পরিবহন ফ্লাইট এই খবরের সত্যতা প্রতিপাদন করে।

এস-৪০০: আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষার শীর্ষ প্রযুক্তি

রাশিয়ার নির্মিত এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ সিস্টেমকে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একযোগে ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ক্রুজ মিসাইলকে ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম।  

এর অত্যাধুনিক মাল্টি-ব্যান্ড রাডার ও মোবাইল লঞ্চার ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি এস-৪০০ ইউনিট যুদ্ধক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে। একই সঙ্গে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক ও আঘাত করার ক্ষমতা থাকায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট কিংবা চীনের HQ-9B-এর চেয়েও বেশি কার্যকর বলেই সামরিক বিশ্লেষকদের মত।
 
কেন এখন এস-৪০০ জরুরি হয়ে উঠেছে?

২০২৫ সালের জুন মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিমান হামলার সময় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা প্রকটভাবে প্রকাশ পায়। আকাশসীমায় প্রবেশকারী এফ-৩৫ বিমান ও ড্রোন ঠেকাতে ব্যর্থতা ইরান সরকার ও সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে।  

ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই এস-৪০০-এর প্রতি ইরানের নতুন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও অতীতে ইরান দাবি করেছিল তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ‘বভার-৩৭৩’ এস-৪০০-এর বিকল্প হতে পারে, তবে বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় তেহরান তাদের অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  
 
বভার-৩৭৩ বনাম এস-৪০০: বাস্তব প্রযুক্তির সংঘাত

‘বভার-৩৭৩’ হল ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি রাশিয়ার এস-৩০০ এবং মার্কিন প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থার চেয়েও উন্নত বলে দাবি করা হয়। এই ব্যবস্থাটি ইরানের আকাশসীমা রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এটি শত্রুপক্ষের বিমান, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইলকে ধ্বংস করতে সক্ষম।  

ইরান ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট বভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মোচন করে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, বভার-৩৭৩'র সার্চিং রাডারের পাল্লা হচ্ছে ৩২০ কিলোমিটার, ট্র্যাকিং বা অনুসরণের জন্য রয়েছে ২৫০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার রাডার এবং এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইরানের বভার-৩৭৩ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা

বভার-৩৭৩ সিস্টেম রাশিয়ার এস-৩০০-এর চেয়ে উন্নত বলে দাবি করা হলেও প্রযুক্তিগত বিচারে এটি এস-৪০০ থেকে খানিকটা পিছিয়ে। এস-৪০০ যেখানে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লায় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম, সেখানে বভার-৩৭৩ এর কার্যক্ষমতা আনুমানিক ৩০৪ কিমির মধ্যে সীমাবদ্ধ।  

এস-৪০০ একযোগে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও আঘাত হানতে পারে এবং এটি ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও স্টেলথ বিমান শনাক্তে কার্যকর। সর্বোপরি, এস-৪০০ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়ায় এটি একটি প্রমাণিত প্রযুক্তি, যেখানে বভার-৩৭৩ এখনো একটি উন্নয়নশীল ও আঞ্চলিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যবস্থা হিসেবেই রয়ে গেছে।

যদিও ইরানের সেনাবাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার আলী রোজা সাবাহিফার্দ জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘বভার-৩৭৩’ এর পাল্লা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হবে, এ বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বে আর মাত্র একটি দেশের কাছে ‘বভার-৩৭৩’ এর উন্নত সংস্করণের সমপর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বিমানকেও আঘাত করা সম্ভব যেগুলো রাডার ফাঁকি দিতে অত্যন্ত পারদর্শী। অন্য দেশগুলোও যদি এই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়, তাহলে তাদের আরও ২০ বছর সময় লাগবে। ইরান ক্রমান্বয়ে এই ব্যবস্থার পাল্লা বাড়িয়েছে বলে জানান এই কমান্ডার।
 
ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে এস-৪০০ চুক্তি  

আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে এস-৪০০ কেনার জন্য কোনো সরকারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে- এমন কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ইরান এস-৪০০ অর্জনে আগ্রহী, কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত নয়।  

এর আগে, ২০০৭ সালে ইরান এস-৩০০ কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল, যা ২০১৬ সালে সরবরাহ করা হয়েছিল। এস-৪০০ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো চূড়ান্ত চুক্তির খবর নেই।

ইরানি কর্মকর্তারা প্রায়ই দাবি করেন, তাদের নিজস্ব বভার-৩৭৩ সিস্টেম এস-৪০০-এর সমতুল্য, যা এস-৪০০ কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ইরানের সরকারি সূত্রগুলো দাবি করে যে, বভার-৩৭৩ ব্যবস্থাটি গত জুন মাসের সংঘর্ষে ইসরাইলের চারটি পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫আই যুদ্ধবিমানের মধ্যে তিনটিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।  

পশ্চিমা মিডিয়া এবং কিছু বিশ্লেষক ধারণা করেন যে, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ইরানকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক চুক্তির বিষয়টি অস্পষ্ট।

সাম্প্রতিক গুঞ্জন ও পশ্চিমা মিডিয়ার দাবি

পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগুর তেহরান সফরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল- ইরানের অনুরোধে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার প্রযুক্তি সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু করা।  

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনও উল্লেখ করা হয় যে, শুধু অনুরোধই নয়, বরং কিছু সরঞ্জামের সরবরাহ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। যদিও এ তথ্যগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি এবং তেহরানও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।

টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, যদিও ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যম শুধু ‘সরঞ্জামের অনুরোধ’-এর কথা উল্লেখ করেছে, কিন্তু আইআরজিসির একজন সদস্য ও আরেকজন ইরানি কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান যে, শুধু অনুরোধই নয়, বরং সরবরাহও শুরু হয়ে গেছে।

তবে ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইরান ঠিক কোন সরঞ্জামগুলো রাশিয়ার কাছে চেয়েছে বা রাশিয়া কোন সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।  

চীনা HQ-9B-এর সম্ভাব্য সমান্তরাল ব্যবহার

জুলাইয়ের শুরুতে প্রকাশিত আরও কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইরান চীন থেকে HQ-9B নামের একটি দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে। এটি কার্যক্ষমতায় এস-৪০০-এর কাছাকাছি। চীন বর্তমানে এই প্রযুক্তি অনেক দেশের কাছে রপ্তানি করছে এবং HQ-9B একাধিক যুদ্ধে ব্যবহৃতও হয়েছে। ইরান যদি সত্যিই একযোগে রুশ ও চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা  নেয়, তবে তা হবে আলজেরিয়ার মতো দেশগুলোর কৌশল অনুসরণ—যেখানে ভিন্ন প্রযুক্তি একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করে।

চীনা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা HQ-9B

পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া: নীরবতা না বার্তা?

ইরানে এস-৪০০-এর পরীক্ষার খবরে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল বা পশ্চিমা জোটের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন, এস-৪০০ মোতায়েন ইসরায়েলের এফ-৩৫ এবং মার্কিন ড্রোন অভিযানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।  

এর ফলে আকাশপথে ইরানে হামলার উইন্ডো অব অপরচুনিটি সংকুচিত হয়ে পড়বে। আগে থেকেই অনুমান ছিল যে, ইরান যদি এস-৪০০ হাতে পায়, তবে ইসরায়েল হয়তো আগেই হামলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষেত্রে এই মোতায়েন পশ্চিমা কৌশলগত অঙ্কে বড় একটি পরিবর্তন আনতে পারে, যদিও তারা এখনো তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
 
কোয়ান্টাম রাডার প্রযুক্তি ও বভার-৩৭৩-এর উন্নত সংস্করণ

নতুন গবেষণা ও প্রযুক্তিগত ধারণার আলোকে ইরান ‘বভার-৩৭৩’ সিস্টেমের উন্নত সংস্করণে কোয়ান্টাম রাডার সংযোজনের পরিকল্পনা করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। কোয়ান্টাম রাডার হলো এমন এক প্রযুক্তি যা প্রচলিত রাডারের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং ‘স্টেলথ’ বা রাডারগ্রাস যুদ্ধবিমান যেমন F-35-এর সনাক্তকরণে বিশেষ সক্ষম।

বভার-৩৭৩-এর এই সম্ভাব্য উন্নত সংস্করণে ফেজড অ্যারে রাডার, প্যাসিভ রাডার, অপটিক্যাল/ইনফ্রারেড সেন্সর এবং কোয়ান্টাম রাডার একসঙ্গে কাজ করবে। এভাবে একাধিক সেন্সরের তথ্য মিলিয়ে দ্রুত ও সঠিক প্রতিক্রিয়া সম্ভব হবে।
  

মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি

আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর আহ্বান সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের

ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা দিবসে (৩১ আগস্ট) এক বার্তায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আধুনিক প্রযুক্তি, দেশীয় উদ্ভাবন ও দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।  

তিনি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার পরিবর্তনশীল চ্যালেঞ্জ, ইরাক যুদ্ধ ও সাম্প্রতিক ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। একইসাথে তিনি সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি-র মধ্যে সমন্বিত ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বও জোর দিয়ে বলেন।

আধুনিকায়নের পথে ইরান, উদ্বেগে ইসরায়েল

ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে এস-৪০০ ও বভার-৩৭৩ উভয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, কোয়ান্টাম রাডারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। সামগ্রিকভাবে, ইরান ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ও নিজস্ব উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করছে, যা তাকে সামরিক দক্ষতায় নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।

এস-৪০০ একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হলেও এর প্রতীকী অর্থ অনেক বড়। এটি ইরানের আত্মবিশ্বাস, রাশিয়ার কৌশল এবং ইসরায়েলের উদ্বেগের মধ্যে এক জটিল ছায়া ফেলে। এই ছায়ার ভেতরেই ভবিষ্যতের আকাশযুদ্ধের সম্ভাব্য রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।  

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।