ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ভোলার ‌‘তুলাতলী’ যেন পর্যটন স্পট

ছোটন সাহা, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৭, মার্চ ২৪, ২০১৩
ভোলার ‌‘তুলাতলী’ যেন পর্যটন স্পট

ভোলা: ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী বেড়িবাঁধ ও মেঘনায় জেগে ওঠা নতুন চরে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের উপছে পড়া ভিড়। বন্ধের দিন ছাড়াও সেখানে প্রতিদিন বাড়ছে মানুষের সমাগম।



শিশু, তরুণ, তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণী-পেশার মানুষ বিনোদনের আশায় ছুটে আসছেন সেখানে। বেড়িবাঁধ ও নতুন চরের সৌন্দর্য দেখতে মানুষের ঢল দিন দিনই বাড়ছে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন এখানে ঘুরতে আসা মানুষ। একই সঙ্গে হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও।

ভোলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মেঘনার সিসি ব্লক এলাকায় এটির অবস্থান। বেশ কিছুদিন আগে সেখানে মেঘনার বুক চিরে নতুন একটি চর জেগে ওঠে। এরপর থেকেই নদী ও চরের সৌন্দর্য দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

জেলা সদরে উল্লেখযোগ্য বিনোদনের স্থান না থাকায় তুলাতলী স্পটে মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই এখানে বসে মানুষের মিলন মেলা। কেউ  ডিঙি নৌকা ভাড়া করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

তুলাতলীতে ঘুরতে আসা অসীম বাংলানিউজকে জানান, তুলাতলীর সৌন্দর্য সত্যিই অতুলনীয়। মেঘনায় জেগে ওঠা চরটি যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

লিমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, এখানকার সিসি ব্লক, বেড়িবাঁধ, নদীর উত্তাল ঢেউ আর বিকেলের দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে। একবার যারা আসবে, তাদের বারবার এখানে আসতে মন চাইবে।

এনজিওকর্মী আসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভোলা শহরের বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় পরিবার নিয়ে সবাই এখানে ঘুরতে আসে। নির্জন স্থানটি এখন মানুষের কোলাহলে মুখরিত। তাই তারাও ছুটে এসেছে।
সরেজমিন ঘিয়ে দেখা গেছে, তুলাতলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ক্যামেরা বন্দি করছেন দর্শনার্থীরা।   বাহারি গাছপালা, নির্মল বাতাসে ছুটছেন দল বেধে। কেউ কেউ আবার নদীর উত্তাল ঢেউ উপভোগ করছেন। ক্লান্তি দূর করতে গোসল করছেন কেউ কেউ।

ঢাকা থেকে আসা সংবাদকর্মী হাসান জাভেদ বাংলানিউজকে জানান, ভোলার তুলাতলীর এ স্থানটি যে এতো সুন্দর তা স্বচক্ষে না দেখলেই কেবল বোঝা যাবে। এখানে এসে বুঝতে পারছি এটি অনেক সুন্দর। এখানে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।

গৃহবধূ রাবেয়া বাংলানিউজকে জানান, তুলাতলীর নতুর চরে এলে মনে হবে যেন কুয়াকাটার সৈকত। প্রতিদিনই এখানে শত শত মানুষ ঘুরতে আসেন। পুরো ২কিলোমিটার এলাকা যেন অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা।

দর্শনার্থী মনজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তুলাতলীকে যেন প্রকৃতি নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে। তাই যানজটের শহর ছেড়ে একটু বিনোদনের আসায় ছুটে আসছেন মানুষ।

দর্শনার্থীরা আরও জানান, তুলাতলীতে বিকেলের পশ্চিমাকাশে সূর্য অস্ত যাওয়ার রঙিন দৃশ্য যাদু করেছে ভ্রমণপিপাসু মানুষকে। তাই বাড়ছে মানুষের ভিড়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এখানে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন দর্শনার্থী ও এলাকাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।