ঢাকা: নারীদের নিরাপত্তা প্রদানে রাষ্ট্র ব্যর্থ হলেও ধর্ষণ-প্রতিরোধক অন্তর্বাস আবিষ্কার করেছেন ভারতের প্রকৌশলীরা! এই অন্তর্বাসের বিশেষ গুণ হচ্ছে এটি আক্রমণকারীকে ইলেকট্রনিক শক দিতে সক্ষম! শুধু তাই নয় আক্রান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাহায্যের জন্য পুলিশের ‘সার্বক্ষণিক হেল্প নাম্বারে’ মেসেজও চলে যাবে।
প্রকৌশলবিদ্যায় অধ্যয়নরত একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি এই বিশেষ অন্তর্বাস আবিষ্কার করেন।
বিশেষ এই পোষাকটির আবিষ্কারক প্রকৌশলবিদ্যার শিক্ষার্থী মনিষা মোহন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “পোষাকটিতে একইসঙ্গে জিপিএস ও জিএসএম প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। তাছাড়া এটি তিন হাজার ৮০০ কিলোভোল্ট শক দিতে সক্ষম। ”
তিনি জানান, “প্রেসার সেন্সর চালু থাকা অবস্থায় কোন মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হলে প্রথমে ওই ব্যক্তি একটি শক খাবে। তারপর জিপিএস এবং জিএসএম মডিউলের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি নাম্বারে এসএমএস চলে যাবে। একইসঙ্গে মেয়েটির অভিভাবকের কাছেও বার্তা পৌঁছে যাবে।
আক্রমণকারীরা সাধারণত প্রথমে নারীদেহের যে অঙ্গে আঘাত করে সেখানেই রাখা হয়েছে শক সার্কিট বোর্ডটি। ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘টেক ইন্ডিয়ায়’ এই বিশেষ ডিভাইসটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতে গত কয়েক মাস ধরে ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দিল্লির মেডিকেল ছাত্রী গণ-ধর্ষণের ঘটনাটি। বাসে গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী মারা যাওয়ার পর দেশ-বিদেশে আলাচনার ঝড় উঠে।
এই ঘটনার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই গত মাসে এক সুইস তরুণীর উপর হামলা চালানো হয়। তারপর ভারতে একটি হোটেলে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয় এক ব্রিটিশ পর্যটকের উপর। হোটেলের বেলকনি থেকে লাফিয়ে পড়ে ওই ব্রিটিশ তরুণী প্রাণে রক্ষা পান।
এসব ঘটনা ভারতে পর্যটন শিল্পের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে নারী পর্যটকের সংখ্যা ৩৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে শুধুমাত্র ধর্ষণের ভয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ০৪ এপ্রিল, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর