ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবিতদের কথা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৭, মে ১১, ২০১৩
ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবিতদের কথা

ঢাকা : সাভারের ধ্বংসস্ত্তূপের ভেতর ১৭ দিন বেঁচে ছিলেন রেশমা বেগম। এরপর উদ্ধার করা হল তাকে।

দীর্ঘ সময় ধরে মৃত্যুকূপে থাকার পর বেঁচে আসা পৃথিবীর অবিশ্বাস্য ঘটনার মধ্যে এটি অন্যতম । ভূমিকম্প, ভবন ধস ও খনিতে ধসের পর জীবিত উদ্ধারের কিছু অলৌকিক ঘটনা উল্লেখ করা হল।

অক্টোবর ১৩, ২০১০- চিলি: চিলির সান জোসের দক্ষিণে একটি সোনার খনিতে ধসে পড়া ৩৩ জন খনি শ্রমিক ৬০০ মিটার গভীরে আটকা পড়েছিল। তাদের ৬৯ দিন পর খনির ভেতর থেকে শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধার অভিযানে নিরাপদে উপরে নিয়ে আসা হয়।  

জানুয়ারি ২৭, ২০১০- হাইতি: হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্স-এ ভূমিকম্পের ১৫ দিন পর ধ্বংসস্ত্তূপ থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এর কয়েকদিন আগে উদ্ধার করা হয়েছিল ২৫ বছরের এক যুবককে। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ লোকের মৃত্যু হযেছিল।

এরআগে জানুয়ারির ১২ তারিখের ভূমিকম্পে ২৮ বছরের এক হাইতির যুবককে ধ্বংস স্তুপের নিচে চাপা পড়া অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ২৮ দিন পর।

জুলাই ১৩, ২০০৯ চীন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে গুইঝো প্রদেশে কয়লা খনি ধসে তিন জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। ২৫ দিন পর উদ্ধার কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি  ৫, ২০০১- ভারত: গুজরাটের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ভূমিকম্পের পর দু জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার কর্মীরা জীবিত অবস্থায় তাদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে ১০ দিন পর উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

জানুয়ারি ৭, ২০০৪- ইরান: ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বাম শহরে ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসাবশেষ থেকে ৫৬ বছরের এক বৃদ্ধকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। ১৩ দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজার লোক মারা যায়।

ডিসেম্বর ১২, ২০০৫- পাকিস্তান: পাকিস্তানের কাশ্মীর থেকে এক ৪০ বছরের এক মহিলাকে ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই মহিলা ভূমিকম্পের পর দু মাস ধ্বংসস্ত্তূপের ভেতর পড়ে ছিলেন।
 
এপ্রিল ২৫, ২০০৬- অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপে খনি ধসে দু জন খনি শ্রমিককে দু সপ্তাহ পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। একটি সোনার খনিতে মাটির ফাঁদে তারা আটকা পড়েছিলেন।

এপ্রিল ৫, ২০১০- চীন: চীনের উত্তর প্রদেশে বন্যার পর এক কয়লা খনিতে ধসে ১১৫ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল এক সপ্তাহ পর। এ সময় ধরে তারা গাছের বাকল, কাঠের গুড়া, কাগজ ও কয়লা খেয়ে বেঁচে ছিলেন।

মার্চ ২০, ২০১১- জাপান: জাপানে ১৬ বছরের এক ছেলে ও তার ৮০ বছরের অক্ষম দাদিকে সুনামি ও ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৯ দিন পর। জাপানের উত্তর-পূর্ব এলাকায় এ দূর্যোগের পর ১৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল।

মে ১৯, ২০১২- চীন: চীনে বন্যার ফলে এক কয়লা খনিতে আটকা পড়ে থাকা খনি শ্রমিককে ১৭ পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বিপর্যয়ে তিন খনি শ্রমিক মারা যান। তিন জন নিখোঁজ ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।