রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ): আমারে ঘর বানাইয়া দিবো কেডায়। টর্নেডোতে আমার সব শেষ অইয়া গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন শনিবার বিকেলে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়াইল গ্রামের জোবেদা আক্তার। তিনি অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।
একই এলাকার কৃষক মীর কাশেম বলেন, “দুঃখের শেষ নেই। দুটি কলাবাগানই ছিল আমার আশা ভরসা। ভয়াবহ টর্নেডোতে কলাবাগান দুটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ” তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ এলাকার দিনমজুর রেয়াজ উদ্দিন বলেন, “অভাবের সংসার আমার। দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকম দিন কাটে। এখন ঘর বানাইমো কি দিয়া। ”
টর্ডেটোয় ক্ষতিগ্রস্ত সোলায়মান, হাসিনা আক্তার, এমরান হোসেন, জামান মিয়া, আনোয়ার, বাছির উদ্দিনসহ অনেকেই জানালেন তাদের কষ্টের কথা। করলেন সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু জাফর রাশেদ বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত ৩০টি ঘরবাড়ি ক্ষতির হিসাবে এসেছে। ক্ষতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে মাত্র ৫ মিনিটের টর্নেডোয় ভোলাব ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় গীতা রানি দাস নামে একস্কুল ছাত্রী মারা যায়। আহত হয় অন্তত ৬০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় শতাধিক কাঁচা,পাকা ঘরবাড়ি দোকানপাট, গাছপালা, পানের বরজ, কলাবাগানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর