ফেলে রাখা স্যুয়ারেজ পাইপে কাটে শৈশব। ঘুরেফিরে এই পাইপেই এসে খেলা, খুনসুটিতে সময় কাটায় ছিন্নমূল শিশুরা।

বাস্তুহারারা বাসা বেঁধেছে পাইপের ভেতরে। পরিবার নিয়ে বসবাসের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার ঘটাচ্ছে মাদকেরও। সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই ‘লাগবে কী না!’ জানতে চেয়ে হাঁক দেয় তারা। এই পাইপের ভেতরেই জীবন। আর মাদক বেচে জীবিকা। এমনই নিয়তি ওদের।

পাইপের ভেতরে মাদক সেবনের আসর। এই মাদক থেকেই শুরু। তারপর নানা অপরাধমূলক কাজেও জড়িয়ে পড়ে তারা। কখনো ধরা পড়ে টানতে হয় জেলের ঘানি। কখনোবা জীবনটাই দিয়ে দেয় নিষিদ্ধ জীবিকার অনিবার্য টানে।
m420131019190928.jpg)
শুধু পুরুষ নয়, শিশু আর নারীও আছে মাদকসেবী আর বিক্রেতার দলে। রেলস্টেশনের পাশে রাখা পাইপের ভেতর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা নারী ও শিশু মাদকসেবীদের দেখে পথচারীরা বিব্রত হলেও ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের।

খাঁচায় বন্দিজীবন আর মাদকের করাল গ্রাসে হার মানেনি শিশুর দুরন্তপনা। মাদক গ্রহণে ক্রমশই নিস্তেজ হয়ে পড়া পথশিশুরা যেন দুরন্ত শৈশবের জানান দিচ্ছে এক পাইপ থেকে আরেক পাপিয়ে লাফিয়ে।

দুরন্তপনা যেন ফিকে হয়ে গেছে সর্বনাশী মাদকের ছোবলে। এ বয়সে হাতে বই আর পেন্সিল থাকার কথা থাকলেও অবহেলা আর অযত্নে বেড়ে ওঠা এসব পথশিশু জড়িয়ে পড়ছে মাদকসহ নানা অপরাধে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে মাদক সেবনের পাশাপাশি তাদের এক্কা দোক্কা খেলার এমন দৃশ্য বিরলই বটে!
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৩
এসএস/এসএটি/জেডএম/আরআইএস