পৃথিবীতে এই প্রথম এত কম বয়সের কোনো শিশুর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলো। তিন বছর বয়সী ওই শিশুর নাম আলেইশা হান্টার।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বুকের কোষ হরমোনজনিত কারণে বড় হতে থাকে আর তখনি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। সাধারণত ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সের নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
শিশুটির চিকিৎসক ড. ন্যান্সি ডাউন বলেন, ‘২৫ বছরের পেশাগত জীবনে এতো কম বয়সী রোগী এই প্রথম। তবে ২০০৮ সালে এ রোগে আক্রান্ত ক্যালিফোর্নিয়ার আন্না পাওয়েল নামে ১০ বছরের এক শিশুকে পেয়েছিলাম। ’
চিকিৎসার পর আলেইশা এখন তা কাটিয়ে উঠেছে। ২০০৮ সালে যখন তার বয়স দুই তখন তার বুকে অতিরিক্ত কোষ গজানোকে রোগের কারণ হিসেবে আবিষ্কার করেছেন ডাক্তার। সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। বর্তমানে তার বয়স চার।
এ সম্পর্কে আলেইশা বলে, ‘আমি জানি আমার শরীরে ক্যান্সার হয়েছিল। ডাক্তার আমাকে ভালো করেছেন। সে আরও বলে, এ রোগে আক্রান্ত হলে কিছু মানুষ স্বর্গে চলে যায় কিন্তু আমি এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। ’
শিশুটির মা মিলেইনি বলেন, ‘আমি হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছিলাম যখন শুনলাম তার বুকে গজানো বাদাম আকৃতির বাড়তি কোষটি তার ক্যান্সারের কারণ। হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিল এটা তেমন কিছু না, তাই আমি তাকে বাসায় নিয়ে আসি। ক্রমান্বয়ে বাড়তি কোষটি বড় হচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম এটি ক্ষতিকর কোনো কিছু না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কোষটি যখন ২ সেন্টিমিটার বড় হয়, আলেইশা তখন ব্যথার কারণে ঘুমাতে পারছিল না । তাই তাকে পুনরায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। ডাক্তার তার রোগ সম্পর্কে জানানোর পর আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। ডাক্তারদের পরীক্ষায় জানা গেল, আলেইশার স্তন ক্যান্সার হয়েছে। আমি অবিশ্বাস্য রকমের আঘাত পাই। চিন্তাও করতে পারিনি এত কম বয়সী কোনও শিশুর ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। ’
ডেইলি মেইল অবলম্বনে তোফাজ্জল লিটন
বাংলাদেশ সময় : ১৮০০, জানুয়ারি ১০, ২০১১