বার মাসে তের পার্বণ নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শীত আসার সাথে সাথে পিঠা খাবার ধুম পড়ে যায়।
আমাদের দেশে বাহারী পিঠা তৈরি দেশজ-সংস্কৃতির এক অনন্য শিল্প বলে সমাদৃত। পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে পিঠার প্রচলন বহু পুরানো বিধায় শত সহ¯্র বছরে পিঠা তৈরি এক অনন্য শিল্পরূপ লাভ করেছে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে।
১৪ জানুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর কফি হাউস অঙ্গণে উদ্বোধন হলো আট দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন আতাউর রহমান, লিয়াকত আলী লাকী, গোলাম কুদ্দুছ, শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফকির আলমগীর।
নগরবাসীর সঙ্গে গ্রামবাংলার পিঠা ও এর স্বাদের পরিচয় ঘটাতে শিল্পকলা একাডেমী প্রতিবছর এ ধরণের ব্যতিক্রমী উৎসবের আয়োজন করে। এবার চতুর্থবারের মত এরকম উৎসবের আয়োজন করা হলে।
উৎসবে শীতের পিঠা নিয়ে মোট ৩০ টি স্টল রয়েছে। স্টলগুলিতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ধরণের পিঠা। যার মধ্যে রয়েছে : ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিমের পিঠা, ডালের পিঠা, তিলের পিঠা, মিষ্টি কুলি পিঠা, ভেজিটেবল কুলি পিঠা, দুধ কুলি পিঠা, ইলশে পিঠা, পাকুয়ান পিঠা, গোলাপ পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, বিবি খানা পিঠাসহ অসংখ্য পিঠা।
জমজমাট এ উৎসব শীতে কাঁপতে কাঁপতে হাজির হওয়া দর্শনার্থীরা কেউ বেশ আগ্রহ নিয়ে ঐতহ্যবাহী পিঠা প্রদর্শন দেখছে, কেউ পিঠা কিনে খাচ্ছে, কেউ বা আবার বাসার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও উপভোগ করছে উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান।
মেলা চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। শেষ হবে ২১ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সময় ২০৫০, জানুয়ারি ১৪, ২০১০