ল্যাম্পশেডটি দীর্ঘদিন ধরেই রাখা ছিল বাড়িটির হলরুমে যাওয়ার পথটিতে। এটি কিনেছিলেন স্কুলশিক্ষক জন ব্যারেটের বাবা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্যার সিডনি ব্যারেট।
সিডনি যখন ল্যাম্পশেডটি সংগ্রহ করেন তখন তিনি থাকতেন ব্রিটেনের সামারহিলের এক বাড়িতে। ১৯৬১ সালে আসেন বাথ শহরের কাছে। এখানে তিনি উঠেন ১৮ শতকের এক বাড়িতে। গড়ে তোলেন ছোট আকারের সংগ্রহশালা। বাবার কাছ থেকে পাওয়া সামগ্রীর সঙ্গে যোগ করেন নিজের সংগ্রহ। এই বাড়ির হলরুমে যাওয়ার পথটিতেই রাখা হয়েছিল সেই ল্যাম্পশেড।
১৯৭৫ সালে সিডনি মারা যান সাতাত্তর বছর বয়সে। তার ছেলে জন থেকে যান সেই বাড়িতেই। তিনিও মারা যান গত বছর। তার মৃত্যু পর্যন্ত এই ল্যাম্পশেডটি একই অবস্থাতেই ছিল। উনিশ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যরে কারুকার্যময় এই ল্যাম্পশেডটির ওপরে ও নিচে ছিদ্র করে নেওয়া হয়েছিল। তারপর বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শেডের ভেতর বাল্ব রাখা হয়েছিল সত্তর দশকের স্টাইলে।
তবে নিলামে বিক্রি হওয়ার সময়ই ধরা পড়ে ল্যাম্পশেডটির প্রাচীনত্ব আর প্রত্নতাত্তিক গুরুত্ব। ‘আমাদের কাছে যখন এটি আসে প্রথমে ধরে নেওয়া হয়েছিল এটি ১৯৭০ দশকের একটি ল্যাম্পশেড। এটা আসলে খুবই লজ্জার বিষয় যে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হতো,’ বলেছেন নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান জর্জিয়ানা আইটকিন।
পরীক্ষা করে দেখা যায়, মার্বেলের তৈরি এই ল্যাম্পশেডটি প্রায় ২ হাজার বছরের প্রাচীন। এটি প্রস্তুত করা হয়েছিল রোমান যুগে। আর এই প্রত্নতত্ত্ব মূল্যের কারণেই এটি নিলামে বিক্রি হয় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পাউন্ডে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
বাংলাদেশ সময় ১৮১৪, জানুয়ারি ২২, ২০১১