দণি এশিয়ার অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বগুড়ার মহাস্থানগড়ের প্রত্নসম্পদের ব্যপ্তি বিশাল বলে উল্লেখ করেছেন ফ্রান্স থেকে আসা প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. প্রফেসর জে এস সালেস। তিনি জানান, এত সহজেই মহাস্থানগড়ের বিশালতা মাপা সহজ নয়।
মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান নাহিদ সুলতানা ২৪ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, ঐতিহাসিক নানা কারণে ১৯২০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে খননকাজ চলে আসছে মহাস্থান গড়ে। খননের বিভিন্ন পর্যায়ে এখানে বেরিয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রত্ন-নিদর্শন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২২ জানুয়ারি ১৯ বারের মতো শুরু হয়েছে ফ্রান্স-বাংলাদেশ যৌথ খননকাজ।
তিনি মহাস্থানগড় খননে প্রতি বছরের মতো এবারেও গুরুত্বপূর্ণ সব নিদর্শন বেরিয়ে আসবে উল্লেখ করে জানান, গত দু দিনের খননে প্রায় ১৫০০ বছরের আগের পোড়া ইটের টুকরো ও সিরামিকজাতীয় বেশ কিছু দ্রব্যাংশ পাওয়া গেছে।
তার মতে, এক হাজার বাই দেড় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মহাস্থানগড়ে ৫ বছর কেন, শত বছর খনন করেও সব প্রত্নসম্পদের হিসাব পাওয়া সম্ভব নয়। তার দাবি, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ, কাহালু ও আদমদিঘী উপজেলায় যে সম্পদ রয়েছে তা হাজার বছর খনন করলেও শেষ করা যাবে না। কারণ, একসময় মহাস্থান বা পুন্ড্রবর্ধনই ছিল এ দেশের রাজধানী। এর আয়তনও ছিল বেশ বড়।
বাংলাদেশ সময় ২১৫৫, জানুয়ারি ২৪, ২০১১