শিশুদের বড় বেশি ভালোবাসতেন তিনি। তাই শিশুদের গাওয়া গানে, পাঠে স্মরণ করা হলো দেশে প্রথিতযশা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হককে।
সমবেত কণ্ঠে গাওয়া ‘আলো আমার আলো’ দিয়ে শুরু হয়েছিল স্মরণ সন্ধ্যাটি। এরপর দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া হলো ‘এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে’। শিশু প্রতœ পাঠ করল রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’ থেকে। মায়িশা পরিবেশন করলো ‘অন্তর মম বিকশিত কর’।
অনুষ্ঠানে আরো পাঠ করা হলো ‘লিপিকা থেকে মেঘদূত’, ‘বোকা বিহঙ্গ’, ‘দাঁড়কাক’ ও ‘একটি রাস্তার আত্মকাহিনী’র অংশ-বিশেষ। আবৃত্তি করা হলো ‘প্রশ্ন’ ও ‘জুতা আবিষ্কার’।
ওয়াহিদুল হক ১৯৩৩ সালের ১৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে। তিনি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বেগবান করেছিলেন ছায়ানট, নালন্দা, কণ্ঠশীলন, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সৃষ্টি করে।
২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশের এই মহান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময় ২১০৪, জানুয়ারি ২৭, ২০১১