ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি যেন অনেকটা ক্রিকেটীয় গ্রামারের বাইরের খেলা। বল বিচার না করে ছয় চারের বন্যা বইয়ে দিতে পারাই এখানে ব্যাটসম্যানদের প্রধান বিচার্যগুণ।
শুক্রবার বাংলানিউজের ‘কেমন ক্রিকেট চাই’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে সমর্থকরা ব্যক্ত করেছেন নানা অভিমত।
একইসঙ্গে বল-ব্যাটে দাপুটে খেলোয়াড়রা মহামূল্যবান টি-টোয়েন্টিতে। আসন্ন এই ক্ষুদ্র সংস্করণের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ দলে ঠাঁই মেলেনি অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের। ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্স করা ফরহাদ রেজাকে দল থেকে বাদ দিয়ে হলেও জিয়াকে দলে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী নোয়াখালীর মহসিন।
নির্বাচকরা জিয়াউর রহমানকে দল থেকে কেন বাদ দিয়েছেন তা বোধগম্য নয় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুমনের কাছে। এই মুহূর্তে ব্যাটে ও বোলিংয়ে তার পারফরমেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে জিয়াকে বাদ দেওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে রুবো ডিউক বলেন, টি-টোয়েন্টিতে জিয়াউর রহমানকে দলে না রাখায় আহত ও মর্মামত হয়েছি। তাহলে কী ক্রিকেটেও লিঙ্ক-লবিং চলে আসছে!
তবে রয়েছে ভিন্নমতও। মাত্র দুই ম্যাচ ভালো খেলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এতো ‘মাতামাতি’ কেন- জানতে চেয়েছেন আরাফাত সোহেল।
জিয়াউর রহমানকে দলে নেওয়ার বিষয়ে বাংলানিউজের নিউজরুমে উপস্থিত থাকা বিশিষ্ট ক্রীড়ালেখক ও বিশ্নেষক অঘোর মণ্ডল বলেন, দাবিটি অযৌক্তিক নয়। কার্যকারিতার কথা বিবেচনা করলে দলে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জিয়া অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ উইনার। যে কোনো ম্যাচের রং পাল্টে দিতে তার ব্যাটিং, বোলিং দু’টোই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, নির্বাচকদেরও সেটা অজানা নয়। তারপরও কেনো তাকে উপেক্ষা করা হলো সেটা সবার কাছেই অজানা।
অঘোর আরও বলেন, ফরহাদ রেজা জিয়ার মতোই অলরাউন্ডার। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে অবশ্যই ফরহাদ রেজার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন জিয়া। তারপরও নির্বাচকরা ফরহাদ রেজার ওপরই আস্থা রেখেছেন। কিন্তু কেন? সেটা তারাই ভালো জানেন।
জিয়াউর রহমান এখন পর্যন্ত ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১০৮, গড় ১৮। উইকেট ২টি। অন্যদিকে ফরহাদ রেজার মোট রান ৭২, গড় ৯। উইকেট নিয়েছেন ৪টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৪
** জিয়াকে দলে চান সাইফ, সাখাওয়াত ও আজাদ