হিটলারের ইস্টার্ন ফ্রন্টের সদর দপ্তর ছিল মধ্য ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়ায়। এই সদর দপ্তরে ছিল ছোট ছোট ২০টি কাঠের ঘর, তিনটি বাঙ্কার এবং কয়েকটি ব্যারাক।
যুদ্ধ তো শেষ হয়েছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি। কিন্তু হিটলার যেন মরেনি! তাই হিটলারের স্মৃতিচিহ্নের গুরুত্ব অনেক। তবে এই গুরুত্বটিকে একটু উল্টো করে দেখতে চান ইউক্রেনের সরকার। তারা জায়গাটিকে পর্যটকদের জন্য খুলে দিতে চান ফ্যাসিবাদে-আক্রান্তদের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে।
১৯৪১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল এই সদর দপ্তরের কাজ। ১০ হাজারেরও বেশি সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি এবং প্রায় এক হাজার স্থানীয় অধিবাসীকে চরম ঠাণ্ডার ভেতর নিয়মিত কাজ করতে হয়েছিল। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৯৪২ সালের এপ্রিলে।
এই কাজ করতে গিয়ে এদের মধ্যে দুই হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন আর চার হাজারকে গুলি করে হত্যা করেছিল নাৎসিরা। ফলে স্থানীয়দের কাছে এই জায়গাটির গুরুত্ব ভিন্নরকম।
স্মৃতিভারাক্রান্ত এই জায়গাটিকে খুলে দেওয়া হবে ৯ মে। কেননা, এই দিনে ফ্যাসিবাদের পরাজয় ঘটেছিল এই অঞ্চলে। সেদিন একটি জাদুঘরও উদ্বোধন করা হবে এই জায়গায়।
‘এই জাদুঘরে আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতিচিহ্নগুলো প্রদর্শন করা হবে। পর্যটকরা দেখতে পাবেন তারা কী যন্ত্রণাই না ভোগ করেছিলেন নাৎসিদের আমলে,’ বলেন ভিন্নিতসিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান মিকোলা দিগা। তিনি আশা করেন, এর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের জনগণের বীরত্বগাথাও তুলে ধরা যাবে।
সূত্র : আরআইএ নভোস্তি
বাংলাদেশ সময় ০০১৫, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১