সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে: ‘রমনা পার্কে গিয়েছি। গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা ঘুরে এসেছি।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে এভাবে বাংলানিউজের কাছে অভিমত ব্যক্ত করেন ফ্রাঙ্ক। কানাডার এ নাগরিক পেশায় একজন শিক্ষক। চাকরি করেন ঢাকার কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। সে সূত্রে বসবাস ঢাকাতে। সোমবার সন্ধ্যার একটু আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কথা হয় ফ্রাঙ্কের সঙ্গে। এসময় ফ্রাঙ্ক এবং নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রায় ৩০ জন বিদেশি মেতেছিলেন হৈ-হুল্লড়ে।

আপনি কি জানেন পহেলা বৈশাখ কী? এমন প্রশ্ন করতেই ফ্রাঙ্ক বলে ওঠেন, ‘অবশ্যই এটি বাংলা বছরের প্রথম দিন। কবে থেকে এটি শুরু হয়েছে তা জানি না। তবে এটা বুঝেছি এটি তোমাদের প্রাণের উৎসব। ’
আপনারা কেন এক সঙ্গে জড়ো হয়েছেন? ফ্রাঙ্ক উত্তর দিলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে। সকাল থেকে রমনা পার্ক থেকে শুরু করে গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরেছি। সব জায়গায় মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। বিভিন্ন বাজনা আর হৈ-হুল্লরে মেতে থাকতে দেখছি সবাইকে। তোমাদের এমন আনন্দ উল্লাস দেখে নিজেদের আর ধরে রাখতে পারিনি। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পরিচিত জনেরা সংসদ ভবনের সামনে বৈশাখ উদযাপনে মেতেছি। ’

ফ্রাঙ্ক জানান, এখানে যারা সমবেত হয়েছেন তারা সবাই বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে শুরু করে শিক্ষা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
কেমন লাগছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ। তোমরা এত উৎসবপ্রিয় দেখেই অবাক লাগছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন সময় উৎসব উদযাপন করা হয়। তবে তোমাদের উৎসব উদযাপন মনোমুগ্ধকর। যে কাউকেই এটি সহজেই আকৃষ্ট করবে। এর আগে কখনও আমি পহেলা বৈশাখ পালন করতে দেখিনি। এবারই প্রথম। আর কখনও পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সুযোগ না পেলেও আজকের দিনটি ভুলব না।

‘তোমাকেও শুভ নববর্ষ’ বলেন ফ্রাঙ্ক।
এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিদেশিদের পাশাপাশি ছিল রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অসংখ্য মানুষের ভিড়। একতারা, তাল পাখা হাতে অনেকে আবার দেখা গেছে ঘোড়া গাড়িতে চড়ে বৈশাখ উদযাপন করতে।

পাশেই একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে কেক কেটে ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে বর্ষ বরণ এবং জন্মদিন উদযাপন করে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কোলা ব্রান্ড মোজো। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শেখ শামীম উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক আলতাফ হোসেনসহ অন্যান্য কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৪