ঢাকা: ক্রিমিয়া দ্বীপ নিয়ে রক্ত ঝরছে ইউরোপের দেশ ইউক্রেন। দ্বীপটির দখল নিয়ে মস্কো ও কিয়েভের উত্তেজনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
কেবল রাশিয়া ও পশ্চিমাদের স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ক্রিমিয়া বিশ্বের নজরে এলেও এই দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণেই বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আরাধ্য স্থান। দ্বীপটিতে লেক রয়েছে। তবে সেটা স্বাভাবিক পানির লেক নয়, লবণ লেক। নাম সিভাশ। এ অঞ্চলে লেকটি ‘রোটেন সি’ নামে পরিচিত।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) লবণের চাহিদা পূরণ করতো সিভাশ। বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় জমেছে কয়েট টন লবণ। আর তাতে শ্যাওলা জমে তৈরি হয়েছে সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।
পানির গভীরতা মাত্র দেড় থেকে সোয়া তিন ফুট। গ্রীষ্মকালে পানি গরম হয়ে উড়ে গিয়ে তৈরি হয় লবণ। লেকটিতে বর্তমানে দুইশ’ মিলিয়ন টন লবণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এলাকার আয়তন প্রায় নয়শ’ ৯০ বর্গমাইল।

বহু বছর ধরে মানুষের পদচিহ্ন না পড়ায় তৈরি হয়ে গেছে মাশরুম। আর তার পাশেই জমেছে লবণ। আকাশের নীল ও পানির রং মিলে সৃষ্টি হয়েছে অপরুপ সৌন্দর্যের।

কাঠের এ সাঁকো দিয়ে এক সময় ভ্রমণপিপাসুরা এ লেকে যাতায়াত করতেন। অযত্ন আর অবহেলায় এগুলো এখন নষ্ট হয়ে গেছে।

পড়ন্ত বিকেলে সূর্য ডুবতে বসেছে। সূর্যের আলোর সঙ্গে লেকের পানির রং মিশে তৈরি হয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্য।

পরিত্যক্ত এ লেকে বর্তমানে প্রায় দুইশ’ মিলিয়ন টন লবণ জমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বহু বছর ধরে লেকটি ব্যবহার না হওয়ায় জমেছে শ্যাওলা। আর শ্যাওলার সঙ্গে লবণের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে সৌন্দর্য।

ওপরে আকাশ, নিচে লবণ। এ অবস্থায় আকাশ ও লেকের পানির সংমিশ্রণে তৈরি করেছে সৌন্দর্যের। লেকের গভীরতা বড়জোর হাঁটু পানি।

লেকের এ সৌন্দর্যের বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে পরিচিত হলেও জানেন না অনেকেই। পরিত্যক্ত হওয়ায় খোঁজও নেন না কেউ।
পরিত্যক্ত এ লবণ লেকের সৌন্দর্যের ছবিগুলো তুলেছেন স্থানীয় চিত্রগ্রাহক সার্জে আনাশকেভিচ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৪