শুধু কথা নয়, দুর্নীতিকে সমূলে দমন করতে উদ্যোগ নিতে হবে, তাহলেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বিষয়ের দৌরাত্ম কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন একজন শিক্ষক।
রোববার বাংলানিউজের ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস-প্রতিকার কোন পথে?’ নাগরিক মন্তব্যে অংশ নিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলাম।
উপজেলার বিশুবাড়ী মডেল কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক আমিরুল প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য বেশ কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- ১. বিজি প্রেসের নিরাপত্তার দুর্বলতা ২. দুর্নীতিকে দুর্বল হাতে দমনের চেষ্টা ৩. কতিপয় আমলার অসৎ মানসিককতা ৪. দলীয় নেতাকর্মীদের দৌরাত্ম ৫. প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ৬. নিয়োগ বাণিজ্য ইত্যাদি।
তবে এই শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কিছু প্রতিকারের প্রস্তাবও এনেছেন।
এরমধ্যে আছে- ১. প্রশাসন ও বিচারবিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা ২. স্পর্শকাতর স্থানে অস্থায়ী প্রশাসন দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া ৩. তথ্য প্রমাণসহ আটককৃতদের বিচার করা ৪. নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে মেধার মূল্যায়ণ করা ৫. কথায় কথায় তদন্ত কমিটি গঠনের নামে জনমতকে দমন না করা ৬. আইনের শাসন যথাযথ প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।
শিক্ষক আমিরুল মনে করেন, এসব প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করলে একদিকে যেমন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত জঘন্য হীন কাজ বন্ধ হবে; অন্যদিকে বন্ধ হবে ঘুষ দুর্নীতির মতো ঘৃণ্য কাজও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৪