ঢাকা: আমরা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের পর যেসব পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে রেজাল্টে এর প্রভাব পড়লে আমরা এর দায়ভার কেন নেবো?
রোববার বাংলানিউজের ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস-প্রতিকার কোন পথে’ শীর্ষক নাগরিক মন্তব্যে আদমজী ক্যান্টমমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া জাহিদ ফয়সাল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি পরীক্ষার আগ থেকেই দেখেছি। এর যথেষ্ট প্রমাণও আছে আমার কাছে। জাফর ইকবাল স্যার শুধু বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেও বাস্তবতা হলো সব বিভাগের প্রশ্নই ফাঁস হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদ বলেন, বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও রয়েছে। কিন্তু বিটিআরসি কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে ফেসবুকের এসব পেজ তদারকি করতে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরি থেকে শুরু করে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বিজি প্রেস থেকে ছাপানো হয়। অন্য জায়গা থেকে যদি না আউট হয়, তাহলে বিজি প্রেস থেকেই প্রশ্নগুলো ফাঁস হয়। কিন্তু গঠিত তদন্ত কমিটি বিজি প্রেসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
মানবিকের শিক্ষার্থীরা কোনো প্রশ্ন পায়নি উল্লেখ করে জাহিদ ফয়সাল বলেন, আমরা পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়েছি। প্রশ্নফাঁসের প্রভাব রেজাল্টে পড়লে এর দায় ভার আমরা কেন নেবো?
ফাঁস বন্ধের সুপারিশ দিয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে সফটওয়ারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্ন সরবরাহ করলে এবং তারা যদি সততার সঙ্গে প্রিন্ট করে তা পরীক্ষার হলে সরবরাহ করেন তাহলেই প্রশ্ন ফাঁস রোধ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৪