ঢাকা: শিক্ষার সাথে একটি দেশের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ জড়িত। এখানে দুর্নীতি মানে দেশ ধ্বংস সময়ের ব্যাপারমাত্র।
প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে সরকারের দায় রয়েছে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য আমাদের দেশ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা উপকরণ কতটা উপযোগী সেটা মূল্যায়নের যথেষ্ট আন্তরিকতা সরকারের ছিল না।
এখনো শিক্ষা ব্যবস্থা এই পদ্ধতির জন্য কতটা উপযোগী সেটা এ বছর অনুষ্টিত এইচ.এস.সি পরীক্ষায় পর্দাথবিজ্ঞান ১ম পত্র এবং জীববিজ্ঞান ১ম পত্রের (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রি-টেস্ট এবং টেস্ট পরীক্ষার অনুলিপি) প্রশ্নই প্রমাণ । যদি প্রশ্ন ফাঁস না হয় তাহলে বর্তমানে ফেলের হার (এস.এস.সি-তে ৮.৬৬%), যা পাসের হার হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এতে সরকার আরো বিপদে পড়বে। তাছাড়া শিক্ষকদের খাতা মূল্যায়নে শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অপ্রাসঙ্গিক উত্তরেও নম্বর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতেও কি মেধার অপমূল্যায়ন হচ্ছে না?
প্রশ্নফাঁসের একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে সরকারের দুর্বলতা বা তাদের সদিচ্ছার অভাব। আর এ সুযোগটাই নিয়ে কিছু অসৎ কর্মকর্তা নিজের পকেট ভারী করছে।
প্রতিকার
সৃজনশীল পদ্ধতির উপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিলেও সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করার পর্যাপ্ত উপকরণ তারা পাচ্ছেন না। সৃজনশীল মেধা সৃষ্টির জন্য ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই ব্যাপারে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে ধ্রুব সত্যের মতো স্বীকার করে এর সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনলে ভবিষতে এ রকম ঘটনা ঘটার সম্ভবনা কমে যাবে।
প্রশ্নপত্র পৃথক পৃথক প্রশ্ন প্রনয়ণ কমিটির মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ সেট তৈরি করা এবং যে কমিটির প্রশ্ন ফাঁস হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রশ্ন ফাঁস অনেকাংশে কমে যাবে।
সুস্থধারার শিক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি না হলে জাতির ধ্বংস নিশ্চিত। আর এর দায়ভার আপনি আমি কেউ এড়িয়ে যেতে পারবো না। তাই চুলুন আমরা সবাই সুস্থধারার শিক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৪