ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

পাহাড় না গুহাবাড়ি!

আসিফ আজিজ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৫, জুন ৯, ২০১৪
পাহাড় না গুহাবাড়ি! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পৃথিবীর কিছু সৌন্দর্য সবসময় লুকিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে বের করতে হয়।

আর যখন সেটা আবিষ্কৃত হয়, তখন সেটা রূপলাভ করে বৈশ্বিক। সেটা তখন কোনো দেশের লুকিয়ে রাখা সম্পদ থাকে না, হয়ে ওঠে উন্মুক্ত সোনার খনির মতো, যা লুটের অধিকার সবার রয়েছে!


আপনি ইরানে গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে স্বতন্ত্রবৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং সুন্দর একটি স্থাপনা দেখতে ভুলবেন না। বিষয়টি সোনার খনি লুট করার মতোই। দেশটির কানদোভানে আপনি দেখতে পাবেন চোখ ধাঁধানো কিছু বাড়ি, যার সঙ্গে মিলবে না প্রচলিত কোনো বাড়ির স্থাপত্যশৈলী।


বাড়িগুলো দেখে আপনার মনে পড়তে পারে বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে পড়া গুহামানবদের কথা। কারণ এগুলো গুহাবাড়ি নামেও পরিচিত। দূর থেকে দেখলে যে কেউ শুধু পাহাড়ের সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারবে না।


৭০০ শতাব্দী থেকে এ এলাকার অধিবাসীরা পাহাড় আর পাথরঘেরা এই ঘরবাড়ি ও পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে, যেটা আপনি বিশ্বের অন্য কোথাও এখন দেখতে পাবেন না।


বাড়িগুলোর গঠন থেকে দূর থেকে কিছু বোঝার উপায় থাকে না। যখন আপনি এর কাছাকাছি পৌঁছুবেন তখন জানতে পারবেন পাহাড়ের গায়ে দরজা, জানালা রয়েছে যেগুলো পাথুরের রঙেই রাঙানো।


কিছু বাড়ির লোকজন বিদ্যুৎও ব্যবহার করে। আবার কিছু রয়েছে সেই আদিম যুগের মতোই।


আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে সৃষ্টি এই পাহাড়ের পাথরগুলো সহজে কেটে ভিন্ন রূপ দেওয়া যায়। এটাই এখানকার স্থাপত্যশৈলীর মূল রহস্য।

বাংলাদেম সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।