ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

মাটির নিচের শহরে ২০ হাজার মানুষ! (ভিডিওসহ)

আসিফ আজিজ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:১০, জুন ১২, ২০১৪
মাটির নিচের শহরে ২০ হাজার মানুষ! (ভিডিওসহ)

মাটির নিচের শহর দেখতে পাওয়া যায় বিশ্বের অনেক দেশেই। তবে তুরস্কের ডেরিনকিউ সবার থেকে আলাদা।

কারণ একটি শহরের সব সুযোগ সুবিধাই এখানে আছে যা মাটির নিচের অন্য কোনো শহরে নেই।



তুরস্কের ঐতিহাসিক কাপ্পাডোসিয়া বৈচিত্র্যময় পাথর পাহাড় পর্বতের জন্য ট্যুরিস্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ধ্বংসাবশেষ এবং সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও কাপ্পাডোসিয়ার আলাদা নাম আছে।



কাপ্পাডোসিয়ার ভূদৃশ্যকে মানুষ ও প্রকৃতি মিলে তৈরি করা সবচেয়ে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বলা হয়। আর এই কাপ্পাডোসিয়ার নিম্নাঞ্চল ডেরিনক্যুয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্বের স্বতন্ত্র এক শহর।



ডেরিনক্যু শহর মাটির ৬০ মিটার নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। সেখানে বর্তমানে বসবাস করছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ফিরে যাই ৭০০ খ্রিস্টাব্দে। মূলত এখানকার অধিবাসীরা বাইরের দেশের আক্রমণ ও যুদ্ধ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য মাটির নিচে এমন একটি শহর নির্মাণ করেন।



তারা একসময় উপলব্ধি করেন তাদের এমন একটি জায়গার সন্ধান করতে হবে যেখান সবার অলক্ষ্যে বসবাস করা যায়। সেই ধারণা থেকেই এমন একটি শহর তারা তৈরি করে সেখানকার অধিবাসীরা।



শহরে প্রবেশপথ রয়েছে ৬০০। রয়েছে বিশাল বিশাল রুম, চেম্বার, সুবিধা। পুরো শহরটি ভিতর থেকে বড় পাথরখণ্ডের দরজা দিয়ে বন্ধ রাখা যায়। এমনকি প্রতিটি ফ্লোর বন্ধ রাখা যায় আলাদাভাবে। পুরো শহরটি স্থাপত্যশেলী একটি গোলকধাঁধার মতো। ফলে শহরে অনধিকার প্রবেশ বেশ কঠিন।



বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।