টাঙ্গাইলের মধুপুর শুধু মৌয়ের মধুর জন্যই নয়, মধুফল আনারসের জন্য খ্যাত।
মধুমাস জৈষ্ঠ্যে মৌসুমের অন্যতম সেরা এ ফলটি বাজারে সহজলভ্য হলেও পাওয়া যায় পুরো বর্ষজুড়ে।

গ্রীষ্ম-শীতের বিভিন্ন ফুলের তুলনায় সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয় কালচে সবুজ পাতার ফাঁকের এ ফুলটি।

ফুল থেকে সবে হয়ে উঠছে কচি আনারস। তাতে বাগানের শোভা যেন বেড়েছে কয়েক গুণ।

ফল বড় হয়েছে উঠেছে মোটামুটি। ভেঙে দেওয়া হয়েছে গাছের মাথা। মাথা ভেঙে দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

গ্রীষ্ম পেরুলেও রোদ কম নেই বর্ষায়। তাই কচি আনারসকে কড়া তাপ থেকে বাঁচাতে দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে খড় দিয়ে।

ভালো ফলন পেতে হবে। সারা বছর বেঁচে থাকার রোজগার করতে হবে এক মৌসুমে। তাই রাতদিন খেটে চলছে বাগানের পরিচর্যা।

বেশি লাভের আশায় আনারসের সাইজ বড় করতে গাছে করা হচ্ছে ক্ষতিকারক হরমোন স্প্রে। এতে ৩-৪ দিনের মধ্যেই বড় হয়ে উঠেছে কচি আনারস।

স্প্রের পর দ্রুতই বেড়ে উঠেছে আনারসগুলো। পেকেছেও তাড়াতাড়ি। এখন বাগান থেকে কাটা হচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে।

বাগান থেকে পাকা আনারস তুলে রাখা হয়েছে হাটে নেবার জন্য। ভ্যানে লোড করা হচ্ছে আনারস।

বিক্রির জন্য আনারসগুলো এবার নেওয়া হচ্ছে পাইকারি হাটে।

মধুপুরের জলছত্র বাজারে বসেছে আনারসের বিরাট হাট।

সব পর্ব শেষ। দেশের বিভিন্ন এখন ট্রাকে লোড করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের জন্য। কিন্তু দেশের রস টইটম্বুর এ ফলটির মিষ্টমধু রস এখন আর মধু নেই। কেমিক্যাল আর হরমোন স্প্রেতে মধু এখন বিষ!
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৪