ঢাকা: ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। প্রবাদটি আর এমনি এমনি জন্মায় নি।
৮৮ বছরের এক বৃদ্ধ ২৫ বছর ব্যয় করে একটি চমৎকার ফুলের বাগান গড়েছেন। তাও আবার ধার করা ময়লা-আবর্জনায় ভরা পোড়ো জমিতে।

নাম তার দেজ চার্চিল। তিনি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ঢেলেছেন এই জমির পেছনে। পুরো টাকাটাই তার পেনশনের টাকা। জমিটি দেখতে অনেকটা ইংরেজি বড় হাতের ‘এল’ আকৃতির মতো।

বাগানের প্রতি দুর্বলতা তার বহু পুরনো। কারণ, তার প্রথম ফ্ল্যাট ওয়ালেসের (যুক্তরাজ্য) লিয়ানট্রিসান্টে কোনো বাগান ছিল না। তার মনে হতো শুধুমাত্র কিছু কাঁচ ছিল সেখানে।
সৌভাগ্যবশত বর্তমান জমির দুই মালিকপক্ষ আরসিটি হোমস ও রোন্ডা সাইনন ট্যাফ কাউন্টি বরাহ কাউন্সিল বৃদ্ধের এ প্রচেষ্টায় সম্মতি জানিয়েছেন।

এ নিয়ে চার্চিলের বক্তব্য, আমি যা করেছি তারা পছন্দ করেছেন। আমার পথ চলায় সবাই পাশে আছেন।
আমার প্রতিবেশীরা বাগানটি খুব ভালোবাসে। তারা বলেন, এটি পুরো জায়গাটিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। যোগ করেন তিনি।

অবসরপ্রাপ্ত কয়লা খনির শ্রমিক চার্চিল ১৯৮৮ সালে এখানে চলে আসেন। তখন জমিটি ছিল সম্পূর্ণ ঘাসে ভর্তি।
তার এই বাগান করার দক্ষতায় মিলেছে পুরস্কারও। স্থানীয় বাগান করা প্রতিযোগিতা যেমন, রোন্ডা সাইনন ট্যাফ বাগান প্রতিযোগিতা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
চার্চিল পত্নী অলিভও (৬৬) স্বামীর কাজে হাত লাগান। ফল-সবজি লাগিয়ে প্রতিবেশীদের বিলি করেন।

স্বামীর কাজ নিয়ে তার বক্তব্য, দেজ যা করেছে তা নিয়ে আমি গর্বিত।
দেখা যাক প্রতিবেশী শিরলে করলেয়া কী বলেন, এটা দেখতে খুব ভালো লাগে যে তার সব পরিশ্রম এই সময় ফুটে ওঠে।

বাগানে আছে হরেক রকমের ফুল, ফল আর শাক-সবজির সমাহার।
একটি প্রবাদ দিয়ে লেখা শুরু হয়েছিল। প্রবাদটির চার্চিল ভার্সনটি দেখে নিন- আমি ঠিকমতো হাঁটু ভাঁজ করতে পারি না। কিন্তু আমার হাতে যন্ত্রপাতি আছে, তার মানে আমি এখনও বাগান করতে পারব!
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২,২০১৪