কিছুকাল আগেও গ্রামবাংলার অনেক এলাকায় মানুষের প্রধান বাহন ছিল ঘোড়ার গাড়ি। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন এখন আর আগের মতো নেই বললেই চলে।
আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের জিন্নত আলী (৫০) জানান, হরিরামপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন আজিমনগর, ধুলসুরা, লেছড়াগঞ্জ পদ্মা নদী বেষ্টিত। উপজেলা সদর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। নদীতীরবর্তী হওয়ায় এই তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ কারণে এখানকার মানুষ যাতায়াত ও মালামাল বহনের কাজে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার করে থাকেন।
আজিমনগরের হাতিঘাটা গ্রামের মকবুল (৪৮) জানান, আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, ফরিদপুর ঘাটগুলোতে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে। এই চরাঞ্চলে এক হাজারের বেশি ঘোড়ার গাড়ি আছে। যুগ যুগ ধরে এই এলাকার মানুষ ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন।
ঘোড়ার গাড়ি চালক ফারুক হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি এই কাজের সাথে জড়িত। একটি গাড়িতে ২০ মণ পণ্য ধরে । যাত্রী ধরে ৭ থেকে ৮ জন । ভাড়া নেওয়া হয় দূরত্ব বুঝে। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ১৫ টাকা। আর কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় ঘোড়ার গাড়ির ওপরই সবাই নির্ভরশীল।
আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আ্দুল হান্নান মৃধা জানান, এটি আমাদের একটি ঐহিত্য। তবে যারা এই পেশায় নিয়োজিত তারা খুব একটা ভালো নেই। চরাঞ্চল হওয়ায় আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সারা বছর ঘোড়ার গাড়ি চলে না। তাই বর্ষা মৌসুমে তাদের অন্য কাজ করতে হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৬২২, মার্চ ১০, ২০১১