ঢাকা: গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ায় সময়ের শিহরণ, গ্রীষ্মের খরতাপে রক্তিম জাগরণ। গ্রীষ্ম এসেছে এ কী শুধু গরম আর খরতাপ দিয়েই উপলব্ধি করার বিষয়।
নগর জীবনের কর্মব্যস্তায় হয়তো শিরদাঁড়া উঁচু করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়াকে পাশ কাটিয়ে গেছেন অনেকে। কিন্তু এক পলক দৃষ্টিতে যারা দেখেছেন রক্ত রাঙা একঝাক কৃষ্ণচূড়া ফুটে উঠতে; তারা কেবলই হয়েছেন পুলকিত।
পুলক ছড়িয়েছে, ছড়াবে মনে প্রাণে। নতুন বছরে নতুন করে রাঙিয়ে যেতে কৃষ্ণচূড়ার সাজে মন সাজলে ক্ষতি কী! এতো কৃষ্ণচূড়ায় মুগ্ধ দৃষ্টি দেওয়ার দিন।
মেঘলা আকাশ কিংবা মেঘমুক্ত। গাছের মগডালে জেগে ওঠা কৃষ্ণচূড়ার জুড়ি নেই বটে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু।
আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগ তো রয়েছেই! সৌভাগ্যক্রমে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ ফুলটির গাছ এখনও টিকে রয়েছে।
আমাদের দেশে মূলত দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেখা যায়। একটি আগুনের মতো উজ্জ্বল লাল, অন্যটি লাল ও সামান্য হলুদ। তবে লাল কৃষ্ণচূড়ার প্রাচুর্যই বেশি চোখে পড়ে। লাল হলদেটে রংয়ের কৃষ্ণচূড়া বর্তমানে বেশ বিরল। লাল কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে সংসদ ভবন সংলগ্ন রাস্তায়, মিন্টো রোড, ভিক্টোরিয়া পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায়।
কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত একটি ফুল। বাঙালির কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় উঠে এসেছে। শোভাবর্ধণকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনোক্রমে টিকে আছে শহরের পথে প্রান্তরে।
কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ভীনদেশি এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের দেশে এসে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হয় পুরাণের রাধা ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া।
এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে এর রূপে মুগ্ধ হয়ে ব্যস্ত পথচারীও থমকে তাকাতে বাধ্য হন!
জাতীয় সংসদ ভবনের রাস্তার দুই ধারে ফুটে ওঠা সুন্দর কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলোর বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি ক্যামেরা বন্দি করেছেন বাংলানিউজের চিফ অব ফটো করেসপন্ডেন্ট নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
আইএ