আমরা মানুষ, আমরা ফানুস। আর সেই ফানুসজনের যাত্রা নিয়েই আয়োজিত হয় “যতযাত্রাঃ একটি ট্যুর ফটো এক্সিবিশন”।
এক্সিবিশনের মূল ব্যাপারটাই ছিল ট্যুর অর্থাৎ ভ্রমণ!
ঘনঘন ট্যুর কেনো? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফানুসরা বলে, অসম্ভব ব্যস্ত দিন আর দম আটকে আসা ঢাকা শহরের নানান সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য একটু দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি যাই আমরা।
ফানুসদের কথা শুনেই বোঝা যায় এই ট্যুরই তাদের ভুলিয়ে দেয় সকল হতাশা আর না পাওয়ার বেদনাকে।
আবার ট্যুরগুলো সকল কাজকে নতুন করে শুরু করার প্রেরণাও জোগায়! আর তাই বেশিরভাগ ট্যুরই হয় টার্ম-এর শেষে, নয়ত মিড টার্ম-এর ছুটিতে।
ফানুসজন তাদের তিন বছরের বুয়েট জীবনে ট্যুর দিয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪টি। এই ২৪টি ট্যুরের মোট ২০৬ টি ছবি নিয়েই “যতযাত্রা”।
এক্সিবিশনে প্রত্যেক ট্যুরের সাথে উক্ত ট্যুরের সময় ও ফানুস সংখ্যা (কতজন গেছে) উল্লেখ করা আছে। সেইসাথে আছে ওই নির্দিষ্ট ট্যুর বিষয়ক কিছু কথা। কথাগুলো একদমই মন থেকে আসা। দেখে মনে হবে খুব ঘরোয়া!
ফানুসজনের উল্লেখযোগ্য ট্যুরের মধ্যে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সেন্টমার্টিন, কুষ্টিয়া, শ্রীমঙ্গল, পাহাড়পুরের ছবি ও ট্যুর বিষয়ক কিছু কথা আছে।
সব ট্যুরই ছিল অপরিকল্পিত! সব অপরিকল্পিত ট্যুরের ছবি এবং ট্যুর বৃত্তান্ত নিয়েই ফাসুনজনের এই এক্সিবিশনকে মনে হতে পারে পরিকল্পিত।
ভবিষ্যতে ফানুসজনের যতযাত্রার ট্যুরগুলোতে অনেকেই তাদের যাত্রার সঙ্গি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে ফানুসজনরা জানান।