ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বিজ্ঞানের চোখ ফাঁকি দেয়া মানুষের ১০ রহস্য

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
বিজ্ঞানের চোখ ফাঁকি দেয়া মানুষের ১০ রহস্য

প্রাণী হিসেবে মানুষ রহস্যময়। আচরণগত বৈচিত্র্যে মানুষের মতো এতটা রহস্যময় আর কোনো প্রাণী পৃথিবীতে নেই।

মানুষের কিছু কিছু আচরণ ও বৈশিষ্ট্যের সঠিক ব্যাখ্যা এমনকি বিজ্ঞানের হাতেও নেই। কেন মানুষ স্বপ্ন দেখে, লজ্জা পায় বা ছবি আঁকে, নাচে, গায়—এসব প্রশ্নের উত্তর নেই বিজ্ঞান তথা মানুষের কাছে। বিজ্ঞানের চোখ ফাঁকি দিয়ে মানুষের করা এমন ১০ রহস্যময় আচরণের সন্ধান পাব এখানে।

১. স্বপ্ন
ঘুমের মধ্যে শব্দ, ঘটনা, অনুভূতি ও উপলব্ধি। স্বপ্ন বাস্তব অভিজ্ঞতার মিশ্রণ বা কল্পনার উত্তরসুরী। কখনো কখনো স্বপ্ন—বাস্তব কোনো সমস্যার সমাধানও দিতে পারে। কিন্তু ঠিক কী কারণে আমরা স্বপ্ন দেখি তা এখনো জানা যায়নি।


২. রক্তাভ মুখ
অস্বস্তি ও ইমোশনাল স্ট্রেসের কারণে মুখ লাল হয় অনেকের। অনেকক্ষেত্রে রোমান্টিক কিছু ঘটলেও এমনটা হতে পারে। অনেকের মতে অতি-সক্রিয় সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া এটি। চার্লস ডারউইন ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন, যখন আমরা মিথ্যা বলি তখন কেন মুখ লাল হয়ে যায়। তিনি এটিকে মানুষের অভিব্যক্তির সবচেয়ে অদ্ভুততম রূপ বলে জানান।


৩. হাসি
ভেতরের বা বাইরের যেকোন আলোড়নে—প্রতিক্রিয়ার ইতিবাচক ভঙ্গি হলো হাসি। মজার গল্প, ভাবনাচিন্তা ও কথাবার্তা ইত্যাদি হাসির উদ্দীপক। হাসি একইসঙ্গে খুশি, মুক্তি ও উৎফুল্লতার বার্তাবাহী। কখনো কখনো হাসি আবেগীয় বহিঃপ্রকাশ হয়েও দাঁড়ায়—যেমন অস্বস্তি, দ্বিধা, ভদ্রতা বা সৌজন্যমূলক হাসি।

হাসির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ এনডোরফিন হরমোন তৈরি হয়। যার ফলে আমরা আনন্দবোধ করি।


৪. চুমু
প্রিয় কোনো বস্তু বা ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা, মমতা, শ্রদ্ধা, অভিনন্দন, বন্ধুত্ব ও শুভকামনা প্রকাশের আদিমতম মাধ্যম এই চুমু। সংস্কৃতিভেদে চুমুর ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশআঙ্গিক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খেলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা কমে যায় ও অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে—যা মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সুখ বয়ে আনে।


৫. পরোপকারিতা/ সহযোগিতা
প্রকৃত মানবের চিরবাস্তব একটি আচরণ। একে অপরকে সাহায্য করা, সেবা করা। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক  দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও এই পরার্থসেবায় নিয়োজিত হয় মানুষ।


৬. বয়ঃসন্ধি
বয়ঃসন্ধিকাল মানুষের জীবনের ক্রান্তিকাল বলে পরিচিত। এসময় মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। মানুষ ছাড়া অন্যকোনো প্রাণী বয়ঃসন্ধিকাল পার করে না। অনেকের মতে, আমাদের বিশাল মস্তিষ্ক পরিণত বয়সের দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই সময়টাতে নিজেকে চেনে ও পরীক্ষামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।


৭. শিল্পবোধ
চিত্রকলা, নৃত্য ও ভাস্কর্য নির্মাণ—মানুষের এসব প্রতিভার বহিঃপ্রকাশগুলো পেখম তোলা ময়ূরে মতো। এসব গুণাবলী বলে দেয় একজন মানুষ কতটা পারদর্শী। কিন্তু ঠিক কেন মানুষ ছবি আঁকে, নাচে বা ভাস্কর্য নির্মাণ করে, এখনো জানতে পারে নি বিজ্ঞান। ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর একটি গবেষণায় আমেরিকার বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানী জিওফ্রে মিলার দেখেন, নারীরা সম্পদের ওপর সৃজনশীল হয় যখন তাদের প্রজননক্ষমতা শীর্ষে থাকে!


৮. কুসংস্কার লালন
অতিপ্রাকৃত কারণে বিশ্বাসস্থাপনকে বলে কুসংস্কার। এখানে বাহ্যিক কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই একটি ঘটনা অন্য আরেকটি ঘটনার ইতিবাচক বা নেতিবাচক কারণ হবে বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতির্বিদ্যা, জাদুবিদ্যা বা পূর্বাভাস ইত্যাদি। সময়ের পর সময়, যুগের পর যুগ এসব ধারণা লালিত হয়ে আসছে। পৃথিবীতে কেন মানুষ এমন সব ধারণার সংরক্ষক, তা বিজ্ঞান জানে না।


৯. লজ্জা পাওয়া
অজানা আশঙ্কা, অস্বস্তি, জুবুথুবভাব। বিশেষ করে নতুন কোনো পরিস্থিতি বা অপরিচিত পরিবেশ বা মানুষের সম্মুখীন হলে কেউ কেউ লজ্জা পান। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে লজ্জাবোধ জিনগত বৈশিষ্ট্য।


১০. নাকে আঙুল দেওয়া
হিসেব করে দেখা গেছে, এক-চতুর্থাংশ টিনএজার দিনে চারবার নাকে আঙুল দেয়। এর কোনো উপকারিতা বা কারণ নেই। কিন্তু গড়ে চারবার কাজটি করা হয়! কেন করে? ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানের কাছে।


তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।