ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য তৎকালীন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ) ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এটি ছিলো যুদ্ধ পরিচালনার একটি সামরিক কৌশল।
১৯৭১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই সেক্টর গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ১১টি সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত হবেন।
প্রতিটি সেক্টরকে আবার বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে আলাদা করে একজন অধিনায়কের দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।
১ নম্বর সেক্টর
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও নোয়াখালী জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের পুরো এলাকা ১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত। হরিনাতে ছিলো এ সেক্টরের হেডকোয়ার্টার। মেজর জিয়াউর রহমান ১০ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন সেক্টর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর মেজর রফিকুল ইসলাম ২৮ জুন থেকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ দায়িত্বে বহাল ছিলেন।
১ নম্বর সেক্টরের পাঁচটি সাব-সেক্টর ও কমান্ডার-
• ঋষিমুখ - ক্যাপ্টেন শামসুল ইসলাম।
• শ্রীনগর– প্রথমত ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান ও পরে ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান।
• মনুঘাট - ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান।
• তবলছড়ি - সুবেদার আলী হোসেন।
• ডিমাগিরী - আর্মি সার্জেন্ট ( নাম জানা যায়নি)।
১ নম্বর সেক্টর থেকে যুদ্ধে অংশ নেয় প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা। যেখানে ই.পি.আর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রায় দুই হাজার সৈন্য ছাড়াও ছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো গণমুক্তি বাহিনী। এ বাহিনীর গেরিলাদের আবার একশো ৩৭টি দলে ভাগ করে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ