ছোট ছোট কাঠবাদাম অহরহ দেখা গেলেও বাক্স আকৃতির এত বড় বাদাম সচরাচর চোখে পড়ে না। আকৃতির সঙ্গে মিল রেখে অনেক এলাকায় এটা ‘বাক্স বাদাম’ নামেও পরিচিত।
চট্টগ্রাম থেকে বাদামটি ঢাকায় আসে বলে জানালেন বিক্রেতা হাবিব। ভ্যানে ফেরি করে (পরিপক্কতা ভেদে) ১০ টাকা, ১৫ টাকা ও ২০ টাকায় বিক্রি করছেন রাজধানীর পল্টন এলাকায়। গত ১৫ বছর ধরে তিনি এই কাঠবাদাম বিক্রি করছেন বলেও জানান।
বরিশালে বাড়ি হাবিব জানান, বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাসে তিনি বাদামটি বিক্রি করেন। আয়ও বেশ, দিনে ৫-৭শ’ টাকা। মৌসুম শেষে বিক্রি করেন অন্য ফল।
পল্টন এলাকায় হাবিবের কাঠবাদামের ভ্যান ঘিরে সমবেত প্রত্যেকেই বাদামটির স্বাদ নিতে দেখা গেলো। তবে মূল বাদামটি খেতে উপরের দুই স্তরের বাকল ফেলতে হবে।
এ বিষয়ে হাবিব বলেন, উপরের বাকলটি ফেলার পরও ভেতরে আরেকটি পাতলা বাকল রয়েছে। যার পরের স্তরের মিলবে সফেদ বাদাম। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। রয়েছে পুষ্টিগুণও।
চট্টগ্রাম ছাড়া বরিশাল, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বাদামটি পাওয়া যায় বলেও জানান বিক্রেতা হাবিব। তবে রাজধানীতে বিএনপির কার্যালয়, খিলক্ষেত, উত্তরা রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় এ প্রজাতির কাঠবাদামের গাছ রয়েছে।
দামের ভেদের বিষয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে পরিপক্ক বাদামটির দাম ২০ টাকা। এভাবে ১০ ও ১৫ টাকায় বাদাম রয়েছে।
ভ্যানের উপর সাজানো কাঠবাদামের বিভিন্ন রঙের প্রশ্নে হাবিব বলেন, সম্পূর্ণ পরিপক্ক হলে এর বাইরের রঙ হয় কালো, একটু কম হলে হালকা লাল, আর অপরিপক্ক কাঠবাদামের বাইরের আবরণ অনেকটা সাদা। পরিপক্ক ফলটি মাঝখান দিয়ে আপনাআপনি ফেটে যায়।
নিয়মিত কাঠবাদাম গ্রহণে কোলেস্টেরল, রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। স্মৃতিশক্তিও বাড়াতে সহায়তা করে বাদাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
জেডএস/এমজেএফ