রবীন্দ্র-নজরুলে সে বসন্ত ধরা দেয় কখনো বিরহী, কখনো আনন্দ, কখনো সৃষ্টি, কখনো প্রকৃতির অনবদ্য গানে।
‘বাঁশিতে বাজায় সে বিধুর
পরজ বসন্তের সুর
পাণ্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে
রাঙা হলো ধূসর দিগন্ত।
এ ঋতু ফুলেদের, এ ঋতু পাখিদের, এ ঋতু নতুন আহ্বানের। পাখিরা এ ঋতুতে গেয়ে ওঠে নতুন গান, পাতারা করুণ নৃত্যে নেচে ওঠে নতুনের উন্মুখতায়, কোকিল গেয়ে ওঠে তার বিরহী সঙ্গীন্মুখ গান। আকাশে খেলা করে নীল। সে নীলে লাল, হলুদ শিমুল, পলাশ, রাঁধাচূড়ার হর্ষকেতন।
‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান,
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান।
আমার আপন হারা প্রাণ
আমার বাধন ছেঁড়া প্রাণ
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান,
ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান। ’ (রবীন্দ্র সংগীত)
বসন্ত মানুষের হৃদয়ে তোলে ঢেউয়ের তাল। সে তাল থেকে ওঠে সুর শ্বাশত। বসন্ত তাই কখনো বিরহী, কখনো সৃষ্টির, কখনো মুক্ত পাখির উচ্ছ্বাসের মতো আনন্দের।
শুকনো পাতার নূপুরের নিক্বণ, ফাগুনের উদাসী বাতাস, দূর থেকে ভেসে আসা বসন্তদূতের কুহু ধ্বনি হৃদয় আকুল করে প্রেমিকযুগলের। হৃদয়মন্দিরে গেয়ে ওঠে আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,/আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,/এই সংগীতমুখরিত গগনে/তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো।
হয়তো বলে ওঠে, সে কি আমায় চিনে নেবে/এই ফাল্গুনের দিনে...’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
এএ