ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

এত সুন্দর ফুটওভার ব্রিজ, পথচারীদের তবুও অনীহা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এত সুন্দর ফুটওভার ব্রিজ, পথচারীদের তবুও অনীহা! ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ছোট্ট শিশুকে বুকে জড়িয়ে রোড ডিভাইডারের রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন একজন। অথচ মাথার উপরেই তার ফুটওভার ব্রিজ। শুধুমাত্র কিছু সময় বাঁচাতে জীবনের এই ঝুঁকি!

রাজধানীর নিউ মার্কেটের ৪নং গেইটের সামনের এই ফুটওভার ব্রিজটির ঠিক নীচেই রোড ডিভাইডারটির ভাঙ্গা অংশ।
 
ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে রাজধানীবাসীকে আগ্রহী করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন।

এজন্য নগরীর ফুটওভার ব্রিজগুলোতে বাহারি রঙের ফুল গাছ এবং বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড দিয়ে বাগান তৈরি করে সৌন্দর্য বর্ধন হয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেক ফুটওভার ব্রিজের দুইপাশে রয়েছে ফুল বাগান, করা হয়েছে নতুন করে রং। কিন্তু তবুও মানুষের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে অনীহা কাজ করে!

ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এমনই একটি উদাহরণ হলো নিউ মার্কেট এবং গাউছিয়া মার্কেট সংযুক্ত ফুটওভার ব্রিজটি। মাথার উপর ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।

ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নারী পুরুষসহ সব বয়সী মানুষই এই ভাঙা অংশ গলে পার হচ্ছেন। পার হয়েই আবার দাঁড়িয়ে পড়ছেন রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির সামনে।
 
ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সড়ক বিভাজনটি পার হয়েই ফাঁকা পেলে দৌড়ে সড়কের ওপারে চলে যাচ্ছেন অনেকে।
 
ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
‘সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি’ এই উপদেশ বাক্যটি তখন হয়তো মাথায় থাকে না এভাবে চলাচলকারী কারোরই।

ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
অবশ্য ফুটওভার ব্রিজটির দুই পাঁশের ওঠা-নামার জায়গা জুড়েই রয়েছে হকারদের দোকানের পসরা। এজন্য ব্রিজটিতে উঠতে হলে দোকানগুলো পার হয়ে অনেকখানি রাস্তা ঘুরে হেঁটে আসতে হবে। রাস্তা পারাপারে এই বাড়তি সময় ব্যয় করাটাই হয়তো অনীহার কারণ পথচারীদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।