পাতা ওল্টালে চোখে পড়ে বিভিন্ন বয়সে আঁকা ছবি, কবিতা, অর্জন-স্বীকৃতি ও বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। দেখলেই বোঝা যায়, কতো বর্ণিল আর আনন্দময় ছিলো মেয়েটির জীবন।
২০১৬ সালের ০১ জুলাই। এর পর থেকে মেয়েটি আর কোনোদিন ডায়েরি লেখেনি, ছবি আঁকেনি, কারও সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কোনো ছবিও নেই। মেয়েটির নাম অবিন্তা কবির।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন অবিন্তা। তিনি এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহম্মেদ ও ইহসানুল কবীরের মেয়ে।
গত বছরের জুনে ঢাকায় এসেছিলেন অবিন্তা। গত ০১ জুলাই রাতে গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হামলায় ১৭ জন বিদেশি (জাপানি সাতজন, ইতালির নয়জন ও একজন ভারতীয় নাগরিক), একজন বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, দু’জন বাংলাদেশি ও দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। অবিন্তা তাদেরই একজন।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অবিন্তার স্মরণে তার পরিবার প্রতিষ্ঠা করেছে ‘অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অবিন্তার স্মৃতিতে সদ্য প্রকাশ হয়েছে ‘অ্যান ইন্টিমেট পোর্ট্রেট অব অবিন্তা কবীর’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ।
সেখানে ছোটবেলা থেকে লেখা তার ডায়েরির পাতা, অর্জন-স্বীকৃতি, তার আঁকা ছবি, বিভিন্ন মুহূর্ত এবং পরিবার, স্বজন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের লেখা স্মৃতিচারণ স্থান পেয়েছে।
বড় হয়ে শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন অবিন্তা। পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন তার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কাজ করবে প্রতিবন্ধী, এসিড হামলার শিকার ভিকটিম ও এতিমদের নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসএনএস