লক্ষ্মীপুর শহরের মাছ বাজারে মাছ কুটে জীবিকা চালান তিনি। থাকেন পৌর বাঞ্চানগরে।
মাছ কাটার সময় রিপনের রসিকতার জবাবে দুষ্টুমি করে পাশ থেকে একজন বলেন- ও ভাই গরু কাটলে কসাই হয়, মাছ কাটলে কি?
মিষ্টি হেসে রিপন বলেন, গরু কাটলে কসাই, মাছ কাটলে মশাই।
তার মাছ কাটার দক্ষতা দেখে সত্যিই তাকে মাছ কাটার মাস্টার মনে হয়।
এসময় এক গৃহকর্তা বলেন, সংসারে অনেক কাজ। বাচ্চাদের পড়ালেখা, চাকরি-তাই বাজার থেকে মাছ কেটে বাড়ি নিয়ে যাই। এতে গৃহিনীর কাজের চাপ কমে। খুশিতো হবেই।
রিপন ছাড়াও ওই হাটে মাছ কাটেন রাজু, বাবুল ও সিদ্দিক। তারা প্রতিদিন মাছ কেটে গৃহিনীদের কাজের চাপ কমান। শুধু গৃহিনীরাই নন; ব্যচেলররাও চাপ মুক্ত থাকেন।
রিপনদের পুঁজি ধারালো বটি, কাঠের মুগুর, স্টিলের চামুচ আর বালতি। চামুচ দিয়ে মাছের আঁশ ছাড়িয়ে নেন। বটি দিয়ে মাছ কাটেন। বালতিতে মাছের আঁশ জমিয়ে রাখেন। পরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেন। বড় মাছ কাটতে মুগুরের ব্যবহার করেন তারা। ছোট মাছ ১০ টাকা, বড় মাছ কেটে-কুটে দিতে নেন ২০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন প্রতি ‘মশাই’ করেন হাজার টাকার কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
জেডএম/