মাটি থেকে সাত মিটার উচ্চতায় প্রায় ৫৩ একর জুড়ে সার্ভিস এরিয়া-২ এর এই রিসোর্টে আছে ৩০টি পরিপাটি ডুপ্লেক্স কটেজ। ২৯শ’ স্কয়ারফুটের একেকটি কটেজে ৩টি করে বেডরুম।
৩০টি কটেজের মধ্যে ৬টি ফুলের নামে আলাদা গোলাকার আয়তনে পৃথক করা। এগুলো হলো- শাপলা, কামিনী, মাধবীলতা, বকুল, রজনীগন্ধা ইত্যাদি।
পদ্মাসেতু নির্মাণ যজ্ঞের মাঝে এসব অত্যাধুনিক স্থাপনা শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে পুরো এলাকার চিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছে।
সার্ভিস এরিয়ায় রিসোর্টের পাশাপাশি সঙ্গে একটি মোটেলও রয়েছে এখানে। যেখানে ৪০টি ‘স্টুডিও টাইপ’ ইউনিট আছে। ৪৫০ স্কয়ার ফুটে প্রতিটি ইউনিটে রয়েছে একটি ব্যালকনিসহ বেডরুম, কিচেন ও যৌথ ড্রয়ি-ডাইনিং। এখানে ওয়াশিং মেশিন, টিভি, ফ্রিজ ও সব ধরনের ক্রোকারিজ সমৃদ্ধ করে রাখা।
জাজিরায় সেতু প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া-২ ঘুরে দেখা গেছে, সুইমিং পুল জুড়ে ৩টি ফাউন্টেন ঝরছে। আর চৌদ্দ রঙের ঝলমলে আলো ছড়িয়ে পড়ছে। সন্ধ্যা হলেই ফুটে ওঠে এখানকার ‘নাইট ভিউ’। পুরো রিসোর্ট মোটেল এলাকা তখন বাহারি আলোয় মায়াবি রূপ নেয়। মূল সুইমিং পুলের দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার, আর প্রস্থ ১০ মিটার। এর সঙ্গে পাশে আরো দুটি সুইমিং পুল। এর মধ্যে একটি জ্যাকুজি, অন্যটি ‘কিডস পুল’। সুইমিং পুল পাড়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনে রয়েছে পুরুষ ও নারীদের আলাদা আলাদা সোনা ও স্টিম বাথ।
এছাড়া সামনের দিকে রিসোর্ট রিসিপশন ভবনে আছে ‘মডার্ন কিচেন রুম’, ইনডোর স্পোর্টস, জিমনেশিয়াম। ভেতরে বাস্কেট বল ও টেনিস গ্রাউন্ড।
এছাড়াও সার্ভিস এরিয়ার একপাশে রয়েছে একটি হাসপাতাল ভবন, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া যাবে। আরো আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদ। সার্ভিস এরিয়ার ভেতরেই আছে ১২৫০ কেবির বিদ্যুৎ সাবস্টেশন। আড়াই লাখ লিটারের ওয়াটার টাংকি থেকে পানি সরবরাহ হয় পুরো সার্ভিস এরিয়ায়। যার সঙ্গে রয়েছে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের অফিস ভবন হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এখানকার একটি ভবন। নদীর এপাড়ে জাজিরা অংশ প্রকল্প অফিস থেকেই মনিটরিং করা হয় সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনের কাজ।
পদ্মার দুই পাড়ে আগামীতে আরো অনেক অত্যাধুনিক ভবন, বাড়িঘর ও পর্যটন হোটেল মোটেল নির্মিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এসএ/জেডএম