আমার বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে আমি পাচঁবার বিদ্যালয় বদল করেছি। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছি, পরে বাংলায়।
তাছাড়া শিক্ষকরাও আমাকে সাজেশন দিয়েছেন কীভাবে পরীক্ষা দেবো তা নিয়ে। আসলে অন্য সবাই আমাকে নিয়ে এবং আমার পরীক্ষা নিয়ে যে টেনশন করেছে, আমি তার কিছুই করিনি। আমার বাবা-মা আমাকে সারাদিন পড়তে বলেননি। স্কুলে একটা সাবজেক্ট খারাপ হলে কিছু বলেননি। অথচ আমার সহপাঠীদের মায়েরা সারাদিন তাদের নিয়ে ব্যাচে ঘুরতো আর পড়া নিয়ে কথা বলতো। তারাও ভালো করেছে। আমি টেস্টের তিন দিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এই কথা শুনে আমার বন্ধুরা তো অবাক। আসলে বড় পরীক্ষাগুলোতে ভালো করতে হলে সারাদিন পড়তে হয় না। মেইন টপিকগুলো জানা থাকলে আর নিয়মিত পড়লে ভালো ফল করা খুব সহজ।
আমি পড়ালেখার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি করি। ক্লাস এইটে রংপুর বিভাগে ৩য় হয়েছিলাম আবৃত্তিতে (আমি ক্লাস এইটে এপ্রিল মাসে খুলনায় আসি)। এভাবে পড়ালেখার পাশাপাশি অন্য সবদিকেও নজর দিয়েছি। তবে পরীক্ষার আগের দুই মাস অনেক পড়েছি। রাতে প্রায় দুইটা পর্যন্ত পড়েছি আবার সকাল ৮টায় উঠেছি। এই কষ্টের ফল পেলাম জিপিএ-৫ পেয়ে। সত্যি এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সাফল্যের এই সুখস্মৃতি যেনো বার বার ফিরে আসে জীবনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এসএনএস