যখন আমি পরীক্ষার ফলাফল শুনতে পাই তখনই আমার মাকে (জাকিয়া আহমেদ রেবা) জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলি। আমার নিজের দেখার সাহস হয়নি বলে ভাইয়াকে পাঠিয়েছিলাম রেজাল্ট দেখার জন্য।
তবে হ্যাঁ, ভাইয়া রেজাল্ট দেওয়ার আগে বলেছিল, তোকে নিয়ে আমার কোনো ভয় নেই, তুই দেখিস অনেক ভালো করবি।
আমার ভাইয়াই সবচেয়ে বেশি আমাকে পড়ার প্রতি উৎসাহ দিয়েছে। কোনো বিষয়ে যদি বুঝতে না পারতাম তবে সবার আগে ভাইয়ার কাছে দৌড় দিয়ে চলে যেতাম। তারপর ভাইয়া তা আমাকে বুঝিয়ে দিতো। আর সঙ্গে মা-ও আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বাবার মতো মা-ও ব্যস্ত থাকে।
বাবা (আলী আহমেদ) শুধু বলতো, মা তুই এখন একটু রেস্ট নে, কারণ আমি ১৪-১৬ ঘণ্ট পড়াশোনা করতাম। আর এর বেশিরভাগটাই ছিলো রাত জেগে।
আমার লক্ষ্য আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো। যদিও এটা আমার মায়ের স্বপ্ন, কিন্তু সে স্বপ্ন যে কখন নিজের সপ্নে পরিণত হলো তা বুঝতেই পারলাম না।
আমি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে একটু টিভি দেখতাম, কখনও-বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডা দিতাম। কিন্তু নিজের আর মায়ের স্বপ্নের কথাটা মাথায় রেখেই পড়াশুনা করতাম। আর দেখতে দেখতে আমি যেনো এগিয়ে চলছি। আমার লক্ষ্যের একধাপ সিঁড়ি যেনো আমি পেরিয়ে এলাম।
অর্জনের মধ্যে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছি, সাথে বৃত্তিও পেয়েছি।
সবাই আমার জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন, আমি যেনো আমার লক্ষ্যে সফল হতে পারি।
আমার আজকের এই অর্জন হয়তো বাবা, ভাই আর মায়ের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা না থাকলে বাস্তবে রুপ নিতো না।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭