ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সাফল্যের সুখস্মৃতি

ভালো ফলের পেছনে উদ্যম ও কঠোর পরিশ্রম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
ভালো ফলের পেছনে উদ্যম ও কঠোর পরিশ্রম মাহমুদুল হক নাঈম

আমি মাহমুদুল হক নাঈম। পিএসসি, জেডিসি’র পর ধারাবাহিক সাফল্য স্বরূপ ২০১৭ সালের দাখিল পরীক্ষায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের কান্দানিয়া কচুয়ার বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছি।

তাছাড়া ফুলবাড়িয়া-২ (আছিম) কেন্দ্র থেকে মাদ্রাসা বোর্ডের একমাত্র জিপিএ-৫ ধারী ছাত্র আমিই।

আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার মা ফেরদৌসী বেগম ও বাবা আব্দুল হকের অবদান সবচেয়ে বেশি।

বাড়ি থেকে মাদ্রাসা বেশি দূরে হওয়ায় আমাকে মেসে থেকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। আমি মেসের খাবার খেতে পারতাম না বলে আমার মা প্রতিদিনই রান্না করে পাঠাতো আর তা নিয়ে আসতো আমার বাবা। শিক্ষকতা ও ব্যবসা নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকলেও সময়মত আমার খোঁজ নিতো বাবা।

এরপর যাদের কথা না বললেই নয় তারা হচ্ছেন আমার শিক্ষকরা। তাদের আদর-শাসন, আমার বড়ভাই ও মামাদের অনুপ্রেরণায় আজকের এই সফলতা।

আমার ভালো ফলের পেছনে আমার উদ্যম ও কঠোর পরিশ্রমই বেশি ছিলো। সবসময় চিন্তা করতাম, আমার বাবা-মা আমার জন্য এতো কষ্ট করছেন, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে ভালো ফলাফল করতেই হবে।

মনটা সবসময় পড়ার টেবিলেই থাকতো। নিরিবিলিতে পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। বন্ধুরা যখন ঘুমিতে পড়তো তখন শেষ রাতে উঠে একা একা পড়তাম। আমি প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা লেখাপড়া করেছি।

ফল প্রথম মা-কে জানিয়েছি। মা স্বপ্নের ফল শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদেছেন কিছুক্ষণ। তখন আমিও ছিলাম বাকরুদ্ধ।

এখন আমার লক্ষ্য এই সাফল্যের হাত ধরে ময়মনসিংহের ভালো একটি কলেজে ভর্তি হয়ে সামনের পথে এগিয়ে যাওয়া। স্বপ্ন দেখি, একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, মানুষের সেবা করার। সবার দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।