যখন আমি ফল জানতে পারি তখন আমি খুশিতে প্রায় আত্মহারা হয়ে যাই। এই ফল শুধু এক বছরের কষ্টের সাধনা নয়, এই সাফল্যজনক ফলের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ দুই বছরের দিন-রাতের কঠোর পরিশ্রম।
আমার পরিবারের বড়ভাই-বোনেরা যখন এইভাবে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছিল, তখন আমার মা (নাহিদ সুলতানা) শুধু বলতেন, দেখো তুমিও তাদের মতো ভালো রেজাল্ট করতে পারো কিনা।
আমার বাবা (জহিরুল হাসান খান) আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমি যে শুধু একা পরিশ্রম করেছি তা নয়, আমার মাও রাতের পর রাত আমার পাশে বসে থাকতেন। যতোক্ষণ আমি জেগে থাকতাম, তিনিও ততোক্ষন সজাগ থাকতেন।
আর আমার আমার ছোটভাইরা ভালো রেজাল্টের জন্য বেশি খুশি হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে এই বলে ধন্যবাদ জানাই যে, আল্লাহ তায়ালা সর্বদা আমাকে অশেষ রহমত দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে জীবনের কঠোরতর সংগ্রামের জন্য আমাকে যেনো তওফিক দান করেন, এই দোয়াই চাই।
আমি আমার মা-বাবার মুখোজ্জ্বল করতে পেরেছি এবং আমার ছোটভাইদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা হতে পেরেছি- তা দেখেই আমি সন্তুষ্ট।
বর্তমান বিদ্যালয় থেকেই পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছি, এসএসসিতেও পেলাম। সবার কাছে দোয়া চাই, আমার শিক্ষাগত জীবনের সব ধাপেই যেনো এভাবে সাফল্যের মুখ দেখতে পারি। আর দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭