এসএসসি পরীক্ষাও প্রতিটি মানুষের জীবনে এমনই এক ধাপ। যে ধাপ আমি মানতাকা জুননুরাইন আদৃত জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে অতিক্রম করতে পেরেছি।
সৃষ্টিকর্তার পর যাদের নাম না নিলেই নয় তারা আমার বাবা-মা ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। সকল ক্ষেত্রে বাবা-মা ও একমাত্র বড়বোন আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমিও সেই অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি শিক্ষকরা স্নেহের সঙ্গে শিক্ষার আলো দান করেছেন।
আমার বাবা (অধ্যাপক জাহিদ হোসেন) ও মা (অধ্যাপক বিলকিস বানু বেগম) পড়াশোনার পাশাপাশি আমাকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পদচারণার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয়ের অবস্থান দৃঢ় করেছেন।
নির্দিষ্ট সময় নিয়ে না পড়লেও দৈনিক সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে দুই ঘণ্টা করে পড়তাম আর স্কুলে নিয়মিত যেতাম। পড়াশুনার পাশাপাশি আমি নিয়মিত সংগীত, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক চর্চার মধ্যে থেকেছি।
আর এভাবেই পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার পেয়েছি, পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী-২০১৬ সন্মননা অর্জন করেছি।
আগামীতে যারা এই পরীক্ষায় অংশ নেবে তারা যেনো অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজেকে না জড়িয়ে প্রকৃত শিক্ষাকে জীবনে কাজে লাগায়। মুখস্থ না করে বুঝে পড়া আর পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করা যায় যে, এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সফলতা পেতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই, তাই এসএসসি পরীক্ষার এই ধাপটিতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি এটিই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আগামীতে আমি যেনো আমার লক্ষ্যে পৌঁছে দেশ ও দশের সেবা করতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭