প্রায় ৩ হাজার ২শ বছরের পুরনো এ মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ১৭০ ফুট এবং প্রস্থ ১১০ ফুট। মিশরের সূর্যদেবতার সম্মানে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিলো বলে মনে করছেন গবেষকরা।
দ্বিতীয় রামিসেসকে মিশরীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সম্মানিত ও সবচেয়ে শক্তিশালী ফারাও রাজা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ছিলেন মিশরের উনিশতম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও রাজা। ঐতিহাসিক ধারণা অনুযায়ী প্রায় ৬৭ বছর তিনি মিশর শাসন করেন। দ্বিতীয় রামিসেস ছিলেন শতাধিক সন্তানের জনক, যা মিশরের অন্যান্য ফারাও রাজাদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেশ কিছু পাথরের খোদাই আবিষ্কার করেন, যা সূর্য দেবতা ‘রা’কে নির্দেশ করে। এ থেকে ধারণা করা যায় দ্বিতীয় রামিসেস সূর্য দেবতা ‘রা’-এর পূজারি ছিলেন। প্রাচীন মিশরে রা-কে বলা হতো দেবতাদের রাজা, ফারাওদের পৃষ্ঠপোষক এবং সব সৃষ্টির স্রষ্টা।
মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক মিরোস্লাভ বার্টা বলেন, মন্দিরটি এ অঞ্চলের প্রাচীন নির্মাণশৈলী ও প্রার্থনারীতি সম্পর্কে নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছে। মিশরের পঞ্চম রাজবংশ থেকে সূর্য দেবতা রা-এর পূজা শুরু হয়েছিলো। পরবর্তী প্রজন্মও একই ধর্ম অনুসরণ করে যায়।
মন্দিরের পেছনে গবেষকরা একটি সিঁড়ি খুঁজে পান। সিঁড়ির শেষভাগে রয়েছে একটি পাথরের ঘর, যা তিনটি সমান্তরাল ভাগে বিভক্ত। ধারণা করা হচ্ছে খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৯ থেকে ১২১৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিশরজুড়ে বিশাল আকৃতির কাঠামো নির্মাণের ফলে দ্বিতীয় রামিসেস একজন সফল শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। তার রাজত্বকালের প্রথমার্ধে তিনি নগর, মন্দির এবং সৌধ নির্মাণে বেশি মনোযোগী ছিলেন। তিনি নীল ডেল্টায় তার নতুন রাজধানী স্থাপন করেন এবং সিরিয়ায় একটি নগরী স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এনএইচটি/এএ